পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৩ বাঙ্গালা গদ্য পাতিয়া বসিয়া যাইত। ধনীর বাড়ীতে পূজা অৰ্চনায় চাষ ও ভদ্রলোক একত্র হইয়া গান শুনিত, উৎসবে যোগ দিত। জাতিভেদের সহস্র বেড়া ডিঙ্গাইয় সাৰ্ব্বজনীন ভ্রাতৃ-ভাব জয় নিশান উড়াইয়া থাকিত ও সকলের বাড়ীতেই একটা মিলনের ক্ষেত্র তৈরী করিয়া লইত । কাব্য, সাহিত্য প্রভৃতি সকল বিষয়েই এই রীতি খাটিত । এমন বিষয়ে কাব্য হইত না যাহার ভাবে সমস্ত জাতি সাড়া দিতে ন পারিত । মোট কথা, সকলকে ভিড়াইয়া একখানে আনিয়া শুনাইতে হইবে, এই ছিল সেকালের পদ্ধতি। দ্যিাসুন্দরের পালা গাও তাহাতে আপত্তি নাই, কিন্তু অন্নদা-মঙ্গলের জয়ডঙ্কা বাজাইয়া লোককে আগে একত্র করিও— তারপর কোন নূতন গল্প থাকে তাহা সুকৌশলে তাঙ্গর মধ্যে প্রবেশ করাইয়া দিও। চণ্ডী-মঙ্গল, রাম মঙ্গল, কৃষ্ণ মঙ্গল এ সকল সমস্ত জাতির সম্পদ। এক বা কোন ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের ভোগ করিবার জন্য এ সকল কিছু ছিল না। দেবতাদের কীৰ্ত্তন করিতে গিয়া কবির এমন কথা ধলিতেন, যাহা সমস্ত শ্রোতারাই চোখের