পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল বাঙ্গালা সাহিত্য Ᏹ8 ছেন,নন্দীভূঙ্গীও প্রসাদের জন্য হাত পাতিয়াছে – এলো চুলে তুর্গ পরিবেশন করিতেছেন। এক নানারূপ খাদ্য দিয়া সারিয়া উঠিতে পারিতেছেন না, কেউ বলিতেছে, ভাত দেও, কেউ বলিতেছে, আর একখানি ভাজা, কেউ ব্যামুনের জন্য হাকিতেছে । দুর্গ বলিতেছেন—“একটু ধীরে ধীরে খাও ; সব দিতেছি।” এদিকে শিব ঠাকুর একটা পাড়াগেয়ে রসিকতা শিখাইয়া দিতেছেন, গণেশ বলিতেছে—“আমরা ধীরে খাইতে জানি না, রাক্ষসীর পেটে হয়েছি—রাক্ষসের মত খাব।” শিব ঠাকুর মৃত্যু মৃদু হাসিতেছেন, এদিকে সব দিতে যাইয়া দুর্গ অবসর পাইতেছেন না, তাহার সুন্দর মুখে মুক্তার হায় বিন্দু বিন্দু ঘাম দেখা দিয়াছে, তাড়াতাড়ি যাতায়াতে অচল বায়ুতে উড়িয়া যাইতেছে, এলো চুল পিঠ ছুইয়া তুলিতেছে—তখন কি শোভাই না হইয়াছে। বাঙ্গালার কুড়ে ঘরেও যে অন্নপূর্ণ দেবী বিরাজ করিতেছেন, এই ছবি দেখিলে তার সম্বন্ধে আর ভুল হয় না। রামেশ্বরের শিবায়ণের একটা দোষ চোখে বাজে । যেখানে কবি পুরাণ ভাষা ও ভাব বজায় রাখিয়াছেন, সে স্থানগুলি বেশ লাগে, কিন্তু যেখানে এই পুরাণ