সরল বেদান্ত দর্শন । و مbلا লোক প্রাপ্তিকেই মোক্ষপ্রাপ্তি বলে। ইহার উত্তর এই যে, তুমি যে লোকের কথা বলিতেছ তাছা স্বস্ট কি নিত্য ? বেদান্তশাস্ত্রমতে এক ব্ৰহ্ম ভিন্ন সমস্ত পদার্থ এবং সমস্ত লোকই স্বই সুতরাং অনিত্য। সংসারেও দেখা যায় যে, সকল প্রকার উৎপাদ্য পদার্থই অনিত্য। সুতরাং তোমার স্বকপোলকল্পিত উক্ত প্রকার নিত্যলোক কোথা হইতে আসিবে ? ঐ প্রকার নিত্যলোক থাকিলে তাহ ব্ৰহ্মকর্তৃক সৃষ্ট হইতে পারে না সুতরাং সকল বেদান্তশাস্ত্র ষে একবাক্যে বলিতেছেন যে ব্ৰহ্মই জগতের স্বষ্টি-স্থিতি-লয়-কারণ সেই বাক্য অপ্রমাণ হইয়া পড়ে। অতএব তোমার কল্পিত সুখময় নিত্যস্থান থাকিতে পারে না। আপত্তিকারীরা এইখামে বলেন তবে মোক্ষ কি প্রকারে সম্ভব হয় ? উত্তরে আমরা বলি যে মোক্ষ ও ব্রহ্মভাব পৃথক নহে। যতক্ষণ তুমি অবিদ্যায় ডুবিয়া আছ ততক্ষণই তুমি আপনাকে বদ্ধ ও মরণশীল বলিয়া জানিতেছ। বেদান্তশাস্ত্রের আলোচনা ও বেদান্তবিহিত মার্গে ব্রহ্মের উপাসনা করিতে করিতে তোমার অবিদ্যা ঘুচিলেই তুমি দেখিতে পাইবে যে মোক্ষ বা ব্ৰহ্মভাবই নিত্য ও সত্য এবং আর সমস্তই মায়াময়। বাস্তবিক বেদান্ত-শাস্ত্রোক্ত মোক্ষ-প্রাপ্তি কোন প্রকার স্বওঁলোক প্রাপ্তি নহে । জীবাত্মা ও পরমাত্মা এক। জীব অজ্ঞানবশত তাহাদিগকে পৃথক মনে করে। সেই অজ্ঞান বিনষ্ট হুইলেই জীব আপনাকে ব্ৰহ্ম হইতে অভিন্ন দেখিতে পায় এবং জগৎ মিথ্যা বলিয়া তাহার স্পষ্ট জ্ঞান হয়। আমিই নিত্য সত্য চিন্ময় ব্রহ্ম এবং জগৎ মিথ্যা এই জ্ঞান অপরোক্ষভাবে হওয়ার নামই মোক্ষপ্রাপ্তি। যে ব্ৰহ্ম চিরকাল আছেন ও থাকিবেন, যাহার মায়ায় এই জগৎ মিথ্যা হইয়াও সত্যরূপে ভাসমান, যাহার লীলায় জীব অবিদ্যাগ্ৰস্ত হইয়া সংসাৱচক্রে ভ্রমণ করিতেছে, সেই ব্ৰহ্ম হইতেই বৈদান্তশাস্ত্র উদ্ভূত হইয়াছে। সেই বেদান্তশাস্ত্রের উপদেশ সম্যকৃরূপে পালন করিলেই জীব অবিদ্যা হইতে মুক্ত হয়। উক্ত অবিদ্যা বা মিথ্যাজ্ঞান নষ্ট করাই বেদান্তশাস্ত্রের চরম উদ্দেশ্য। মিথ্যাজ্ঞান নষ্ট হইলে পুর্ণজ্ঞান আপন হইতেই প্রকাশ পায়। কিন্তু ব্রহ্মবিদ্যার অধিকারী না হইলে সাধক কেবলমাত্র বেদান্তশাস্ত্র
পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৯৮
অবয়ব