পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ : সরস গল্প লালমোহন বাড়ী ছিল না। তাই রক্ষা । হরিদাসবাবু আর আগের মত আত ভয়ও করেন না। যা বলে বলিবে । পুস্তকের অধীত জ্ঞান যদি দৈনন্দিন কর্মের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করিতে না পারা গেল, তবে জ্ঞানের মূল্য রহিল কোথায় । স্বামী মহেশ্বরানন্দ গিরির পুস্তকেই আছে, “যে ব্যক্তি শুধু বোঝা বোঝা পুঁথি পড়ে অথচ একবারও আত্মচিন্তা করে না, ভগবানের সহিত একাত্মবোধ তাহার নিকট হইতে অনেক দূরে অবস্থান করিতেছে। সেবা-ধর্মের উৎকর্ষ সম্বন্ধে যে অনেক প্ৰবন্ধ রচনা করিয়াছে, পাঠ করিয়াছে, কিন্তু কখনো ভিখারীকে একটা পয়সাও দেয় নাই, ভগবানকে চিনিতে বা বুঝিতে তাহার এখনো বহু বিলম্ব।” হরিদাসবাবু ছাত্রকে ডাকিলোন-কেশব ? ছাত্র বাহিরে আসিয়া বলিল-কাল পরশু এলেন না। স্যর ? হরিদাসবাবু আগে আগে এক্ষেত্রে বলিতেন, অসুখের জন্য আসিতে পারেন নাই । কিন্তু এবার তিনি সে লোক নহেন । এত ভয় কিসের ? লালমোহন ঘোষের তিনি ধার ধারেন না । সত্য কথা বলিবেন, ইহাতে ভয় করিলে চলে না। অতএব বলিলেন-এমনি একটু অসুবিধে शेिळ । -বাবা বলছিলেন, তাই বলছি, স্তর। --কি বলছিলেন ? -বলছিলেন । জানেন তো বাবাকে । ওইরকম লোক । -ত কি হবে এখন ? বাড়ীতে অন্য কাজ ছিল । পড়ে । ছেলেকে অঙ্ক কষিতে দিয়া হরিদাস মহেশ্বরানন্দ গিরির বই পড়িতে व्लांgिलन । “বিচারবলে কেহ কেহ জানিতে পারেন যে জগৎ ব্ৰহ্ম, সাক্ষাৎকার হইলে, তবে আপনাকে ও জগতকে ব্ৰহ্ম হইতে অভিন্নরূপে দর্শন হয় ।” “যাহারা প্ৰকৃত জ্ঞান লাভ করিয়া সর্ববিধ সংস্কার বর্জিত হইয়াছেন, WV