পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প সাধারণ লোকে এ কথাবার্তা থেকে বিশেষ কিছু বুঝবে না, কিন্তু প্ৰায় পঞ্চাশ হাজার টাকার ওপর “বড়াল বার’ নামক বিখ্যাত সুবর্ণের বাট কিনিবার পাকাপাকি ব্যবস্থা হয়ে গেল । ক্ৰিয়-বিক্রয়ের পালা শেষ হোতেই শিবশঙ্করের আপিস ম্যানেজার ও তদারককার মিঃ ঘোষাল ঢুকে শিবশঙ্করকে খানিকটা নিচু হয়ে নমস্কার জানিয়ে একটা চেয়ারে বসলেন । দুজনের মধ্যে যে কথাবার্তা শুরু হোলো তা স্কোয়ার ফুট রেট, পার্সেণ্ট, ইস্পাতের জালতি, সিমেণ্ট, এক্সপ্রেস টেলিগ্রাম, গ্যারিসন এনজিনিয়ার প্রভৃতি শব্দে পরিপূর্ণ ও কণ্টকিত । আজই মিঃ ঘোষালকে আপিসের কাজে তেজপুরে যেতে হচ্ছে, ফোনে এখুনি আসাম মেলে বাৰ্থ রিজার্ভ সম্বন্ধে শেয়ালদা স্টেশনের কর্মচারীর সঙ্গে আলাপ হোলো। অন্য অন্য কথার পরে বেলা ন’টার সময়ে মিঃ ঘোষাল বললেন-ত হোলে আমি উঠি —কত টাকার দরকার ? —সতেরো হাজার তো ওদের পেমেণ্ট করতে হবে, আর পূজোর ব্যবস্থা-তাও তিন হাজার নেবে সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট, হাজার খানেক দিতে হবে উপদেবতাদের। মিসেস বর্মণকে একটা প্ৰেজেণ্ট দিতে হবে ভাল দেখে । কি দেওয়া যায়, স্যার, আপনিই বলুন। —একটা জড়োয়ার কিছু দাও গিয়ে-হাজার খানেকের মধ্যে। বিশ হাজারের একটা চেক নিয়ে যাও— --আজ্ঞে স্যার, ব্যাঙ্কে টাকা ভাঙানোর আমার সুবিধে হবে না । MBBD D SYSS DBD DBBD DDDS LDBBB BYSS DD আপিসে যেতে হবে । ডুয়ারের মধ্যে কাগজপত্র রয়েচে, নিয়ে যেতে হবে। গহনাই বা কিনবো কখন ? --আচ্ছা গহনার জন্যে আমি সুরেশকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। বদ্রিদাসের বাড়ী। যদি কিছু ভালো থাকে দেখে আসুক। সেজন্যে তোমায় ভারতে হবে না। তুমি এখান থেকে বাড়ি যাও-নেয়ে খেয়ে গাড়ী নিয়ে òb”