পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ : সৰ্ব্বস গল্প বিঘে, মাঝখানে বড় পুকুর। বর্ধমান জেলায় ধানের জমি নব্বই বিঘে। বানপাশ স্টেশনের 夺忆豆日 কুমারডি কয়লাখনির এক তৃতীয়াংশের মালিকানা স্বত্ব, বড় বাংলোঘর, ইদারা, ছোট বাগান একত্রে । রানাঘাট টাউনে রেলের নিকট সেন্টশন রোডের ওপর দুখানা বাড়ী, রেলের ওপারে বাইশ বিঘের সেগুন বাগান, ইটের ভাটা । যশোর জেলায় মৌজা ধরমপুর ও মৌজা চণ্ডীরামপুর-দুইটি বড় মৌজা নীলামে উঠেচে । সামনের মাসের বারোই তারিখে যশোর সদরে নীলাম হবে। লোক পাঠিয়ে শিবশঙ্কর জেনেচেন মৌজার আদায় ভালো, একাত্তরটি জমার মধ্যে উনিশটি খাস হয়ে গিয়েচে এবং আশা আছে আরও আটটি জমা এই বছরের মধ্যেই খাস হবে । বাকী খাজনা পড়ে আছে প্ৰজাদের কাছে কয়েক হাজার টাকা । হাজারিবাগ জেলায় সিংজানি-ভোজুড়ি অভ্রের খনি ও শালবন, বাংলো, ইদারা এবং কিছু ধানের জমি । উল্টোডিঙির খাল ধার থেকে সামান্য দূরে ৬ মহেশচন্দ্ৰ সিমলাইয়ের বাগানবাড়ী ও পুকুর, বাগানে জমির পরিমাণ দশ বিঘে। কলমের আম, লিচু, ফলস, ম্যাঙ্গোস্টিন প্ৰভৃতি ফলের গাছ। দোতলা বাড়ী । অভ্রের খনির ওপর ঝোক বেশি শিবশঙ্করের। দু-পার্সেণ্টের অনেক বেশি আসবে টাকার ওপর । স্বাস্থ্যকর স্থান, মাঝে মাঝে গিয়ে থাকাও যাবে, কলকাতায় তো যা খান হজম হয় না, লিভারের রোগে কষ্ট পাচ্চেন । আর বাকী সব পাড়াগায়ে জমিজমা, ধানক্ষেত-নাঃ ওদের কি মূল্য আছে? জমি কিনতে গেলে কলকাতায় । কলকাতার সম্পত্তির মত সম্পত্তি নেই-বাড়ী বা জমি। মহেশ সিমলাইয়ের বাগানবাড়ী ভালো, ফলেবান গাছ অনেকগুলো, নার্সারি করবার জন্যে কেউ ভাড়া So 8