পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমপিটিশন নিতে পারে, অনেকখানি জমি-মূল্যবান সম্পত্তি হয়ে উঠতে পারে দু-চার বছর পরে। দালালে বলচে আটষট্টি হাজার, তিনি বলচেন KESK BDBBBBS DDD DDDS DBDS DDB BBD DBBDSS শিবশঙ্কর ফেঁপে উঠলেন তো সেদিন । ক’বছরের কথা আর ? কি ছিল শিবশঙ্করের ? বারাসাতের কাছে ভবনহাটি আিবষ্ণুপুর, ক্ষুদ্র গ্রাম, সেখানেই পৈতৃক বাড়ী। অবিশ্যি নিতান্ত গরীব ছিলেন না, সেকেলে বড় গৃহস্থ, তবে ইদানীং নামেই ছিল তালপুকুম, ঘটি ডুবিতো না। নিজের বুদ্ধিতে শিবশঙ্কর সব করেচেন। বীরের মত করেচেন, বীরের মতই ভোগ করে যাচ্ছেন। শিবশঙ্কর ৷ এখনো হয় নি, লেক অঞ্চলে বড় একখানা বাড়ী করবার শখ তার, কিন্তু পছন্দসই জমি পাচ্ছেন না । তেজপুরের কাজটা যদি হাতে এসে যায়, তবে নিৰ্ঘাত তিন লক্ষ ঘরে আসবে । হিসেব করে দেখা আছে তার । এই বছরের শেষেই টাকাটা হাতে আসতে পারে, যদি বিলের টাকা গভর্নমেণ্ট এ বছরেই শোধ করে। পুজো দিলে শেষের ব্যবস্থা চটপট হয়ে যাবে। শিবশঙ্করকে কাজ শেখাতে হবে না, ঘুঘু হয়ে বসে আছেন তিনি। অনেষ্টি বলে জিনিস নেই এ বাজারে। অনেষ্টি একটা মুখের কথা মাত্ৰ । কমপিটিশনের বাজার, অনেষ্টিতে হয় না। টাকা • • •টাকা চাই, টাকা । দুনিয়াতে টাকা ছাড়া আর কিছু নেই। টাকা যে পথে আসে। আসুক ! টাকা রোজগারের এই তো সময়। যুদ্ধের বাজারে যে যা করে নিতে পারে। কলকাতার হাওয়ায় টাকা উড়চে • •যার বুদ্ধি আছে ধরে নাও । কিছুই এখনো রোজগার করা হয় নি। অনেক কিছুই বাকী । কেবল একটা ব্যাপার শিবশঙ্করকে বড় চিন্তিত করে তুলেচে । বড় ছেলে বিমান প্ৰায়ই রাত্রে বাড়ী আসে না । নিজের আলাদা একখানা মোটর কিনোচে। নানা রকম কথা কানে গিয়েচে শিবশঙ্করের। So (ł