পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

..-a to rife চাষা চলে গেল । নিজের অপরাধের ভারে তার মন এত ভারাক্রান্ত যে বাড়ীতে গিয়ে সে রাঙা মাদাস চালের ভাত আর খাম-আলুর তরকারি খেতেই পারলে না। কংকন উপকূল গোধূম উৎপন্ন করে না। ভাদ্রমাসে জনার আর এই মাদাসা। ধান উচু জমিতে জন্মায়-অন্য নীচু জমিতে হৈমন্তী ধান। মাদাসা। ধান ষাট দিনে পাকে বলে গরীব চাষীরা অর্ধেক জমিতে এর চাষ করে, সকালে উঠে। ঐ ধানের রাঙা মিষ্টি ভাত পেট ভরে খেয়ে মাঠের কাজে বেরিয়ে যায় । দুপুর ঘুরে গেল। মাঠে বসে বসে চাষা ভাবলে কাজটা খারাবি হয়ে গেল সন্দেহ নেই। সেজন্য বকুনিও যথেষ্ট খেয়েছে সে মাননীয় পুরোহিত বালা দাসের কাছে। তবে একটা কথা । সখীবাই এখানে চিরকাল থাকতে আসে নি । তিন চার দিন পরে পানজিমে চলে যাবে। যাবেই। আজি না হয়। সে জনার ক্ষেতের কাজ শেষ করে বিকেলে ফেরবার পথে সোজা বাড়ী না গিয়ে ওপাড়া দিয়ে একটু ঘুরে সখীবাইকে আর একবার দেখে যাবে এখন । ও রকম মেয়েছেলে এদিকে হর-হামেশা বড় একটা আসে না । না হয়। এই অপরাধের জন্যে সে আগামী রবিবারে বাতি দেবে সেণ্ট জেভিয়ারের দরগায়। পুরোহিত কিছু জরিমানা করবেন। একই অপরাধ দুবার করবার জন্যে । একটাকা স পাচ আনা । তা দেবে সে । গোয়ার পাইকারদের কাছে এক গাড়ি কুমড়ো বিক্রি করলে উঠে আসবে এখন ও পয়সা। কাজ শেষ করে বিকেলের দিকে সে গুটি গুটি চলল মঙ্গলদাসের পাড়ার দিকে আস্তে আস্তে। সে ইদারার অদূরবর্তী বড় ডুমুর গাছটার ՏՏԳ