পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথিকের বন্ধু মহকুমার টাউন থেকে বেরুলাম যখন, তখনই বেলা যায় যায় । কলকাতা থেকে আসছিলাম বরিশাল এক্সপ্রেসে । বারাসাত স্টেশনে নিতান্ত অকারণে ( অবশ্য যাত্রীদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী)। উক্ত বরিশাল এক্সপ্রেস চল্লিশ মিনিট কেন যে দাড়িয়ে রইল দারুব্ৰহ্মবৎ অনড় অবস্থায় তা কেউ বলতে পারলে না । গন্তব্যস্থান বনগাঁয়ে পৌছে দেখি রাণাঘাট লাইনের গাড়ী চলে গিয়েচে । বেলার দিকে চাইলাম। বেশ উচুতেই সূর্যদেব, লিচুতলা ক্লাবে খানিকটা বসে আডিডা দিয়ে চা খেয়ে ধীরে সুস্থে হেঁটে গেলেও এই পাচ মাইল পথ সন্ধ্যার আগেই অতিক্রম করতে পারা কঠিন হবে না। রামবাবু, শ্যামবাবু, যদু ও মধুবাবু সবাই বেলা পাঁচটার সময় ক্লাবে বসে গল্প করছিলেন । আমায় দেখে বললেন—এই যে বিভূতি, এসময় কোথেকে ? 一夺郊夺f列(邻夺日 -বাড়ী যাবে ? ট্রেনে গেলে না ? --ট্রেনটা ফেলা হয়ে গেল, বরিশাল এক্সপ্রেস চল্লিশ মিনিট 〔研帝由 -এসো, খুব ভাল হয়েছে এক্সপ্রেস লেট হয়ে । বোসে চা খাও । তারপর গল্পগুজবে ( যার বারো আনা পরনিন্দ ) সময় হু হু করে কেটে গিয়ে কখন যে গোধূলির পূর্বমুহুর্ত উপস্থিত হয়েছে, তা কিছু বলতে পারি নে। যেতে হবে এখনো অনেকটা রাস্তা, আল্প দেরি করলে Ο δδ