পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথিকের বন্ধু বঁাচলে এই সন্দেবোলা । একা যেতে ওর নিশ্চয় ভয় করছিল। আমার প্রশ্নের উত্তরে সে গল্প জুড়ে দিলে কেন তার দেরি হল দই নিয়ে রওনা হতে । ওদের একটা গোরু, হারিয়ে গিয়েছিল। আজ পাচিদিন। খুজে খুজে হয়রান হয়ে গিয়েছিল। আজ দুপুরের পর হিজোলতলার বঁাওড়ে সেই গোরুকে চরতে দেখা গেল। তারপর ওরা দল বেঁধে বেরুলো গোরু আনতে । গিয়ে দেখে বঁওড়ের ধারে একটা লোক বসে আছে, তার কাছেই ছ’টা গোরু একসঙ্গে চরচে। সবগুলোই বিভিন্ন গ্রামের হারানো গোরু, ক্ৰমে জানা গেল। লোকটা ত ওদের দেখেই 6लोफु-देउाiनि । এইবার বেশ সন্দে হয়ে এসেচে । বঁাশ-আমবনের ভেতরে ভেতরে ঘুলি ঘুলি অন্ধকার । সামনে একখানা শুকনো কাঠ উচু চটকা গাছের মাথা থেকে ভেঙে পড়তেই ও চমকে উঠে বললে-ও কি ? আমি হাসি চেপে বললামচটকা গাছের ডাল । লোকটা আশ্বস্ত বললে-ও ! -6डiभाद्र नांभ कि ? --নিধিরাম । -तांऊंौ ? -कछक दिनों । —সত্যি ? তুমি তো বেশ বাঙালীর মত কথাবার্তা বলচে । --তা হবে না বাৰু? বেনাপোলের কাছে কাসুন্দয়াতে আমার পনেরো বছর কেটে গেল । ওখানে আমার গোরুর বাথান। কুড়িটা গাইগোরু পনেরো-ষোলটা বকনা বাছুর, মস্ত বাথান । রোজ আধ মণ দুধ হয়। ঐড়ে বাছুর আমরা রাখিানে, শুধু বকনা বাছুর রেখে দিই। ঐড়ে বিক্ৰী করে ফেলি। বাবু লোকটা একটু বেশি বকে। আমাকে পেয়ে ওর বকুনি আর থামতে চায় না । এক যাচ্ছিল, আমায় পেয়ে ও ভারি খুশি হয়েচে, ভরসা। Σ ο δ