পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প --গেলো-যমের অরুচি-গেলে । তা ভালো হয়ে বোসেও না হয় ? কোন মড়ার ঘাটে তোমার জন্যে বঁাশ তৈরি রয়েচে যে আজ সারা দিন বাইরে বসে থাকা হয়েছিল শুনি ? আমার তো বডড দোষ, দেশ পিরথিম তো ছেয়ে ফেললে আমার অপযশ গেয়ে । এখন তাবা এসে তোমায় গিলতে দিক দেখি ? বলি মুখে বলতে সবাই আছে, দুটি বেলা পিণ্ডি সেদ্ধ করবার বেলা কোন যম তোমার আছে শুনি ? দাড়াও, আর দু’খানা গরম গরম এনে দিই।--তাড়াতাড়ি কিসের শুনি ? বলে সেই এক কড়ার মুরোদ নেই, নাম গঙ্গারাম-ইদিকে তেজটুকু আছে ষোল আনার ওপর সতেরো আনা । সে-বার আশ্বিন মাসে যখন দাত ছরকুটে বিছানায় পড়ে জ্বরে বেহুশি হয়েছিলে, তখন দেখে নি এসে পাড়ার লোক ? এই মাগীর তো যত দোষ, এহ মাগী না থাকলে যে কোন কালে শ্মশানঘাট আলো করতে ? শেয়াল-শকুনে হাড়-মাংস ছেড়াছোড় করতো ? পেট ভরেচে ? না গুড় দিয়ে দু’খানা খাবে ? ভাল হয়েচে ? তবু তো নারকোল পড়ে নি। বাড়ীর লোক নারকোল এনে দেবে। তবে তাে হবে? তা না। সকাল থেকে শোনাে শুধু ঝগড়া আর ঝগড়া— যম ভুলে রয়েচে কেন ? যমে তোমায় নেয় না ? পান ছেচে আনবো ? ঠাণ্ডা হাওয়া হচ্চে-পুবে স্যাওটা দেখা দিয়েচে-এণ্ডিখানা নিয়ে আাস, গায়ে দিয়ে গিয়ে বােসো—নইলে সর্দি-কাশিব থুতু গয়েরে ঘর ভরিয়ে ফেললে সে তোমার যমকে ডেকে এনে পবিষ্কাব করিয়ো বলে দিচ্চি স্পষ্ট কথা-এই ন্যাও গামছা খুড়ীমার স্বামী-শুশ্রষার আতিশয্যে আমি কোথায় তলিয়ে গেলাম, একবার মাত্র আমার বাটিতে তালের বড় দিয়ে আর আমার দিকে তিনি “ফিরেও চাইলেন না । SSR