পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ : সরস গল্প হল। আপনার শাপমোচন পড়ে আমাদের বাড়ীর এরা কেঁদে বঁাচে না। আমি এখনও পড়ি নি। সময় পাই নে, মিউনিসিপ্যালিটির কাজ বড় বেশি-যদিও রিটায়ার করেছি, তবুও কাজের অন্ত নেই।-ওরই নাম বিনয়বাবু ? আসুন আসুন, আপনার বইও-মানে, পড়ি নি—তবে নাম কে না শুনেছে। আপনাদের বাংলা দেশে, বলুন ! আমরা সবাই খ্যাতির গর্বে স্ফীত হইয়া উঠি । প্ৰকাণ্ড ঘর। মাঝখান জুড়িয়া লম্বালম্বি একখানা বড় টেবিল সাদা কাপড় দিয়া ঢাকা-চার পাচটা ফুলদানিতে ফুল সাজানো ! বড় বড় চীনামাটির প্লেটে সিঙাড়া, কচুরি, নিমকি ও রসগোল্লা। কাচের গ্লাস সারি সারি ও কাচের জগে জল । চায়ের সরঞ্জাম । —আসুন, বসুন—এই যে, আপনি এইদিকে-বিনয়বাবু এখানে। ওরে ফল কই ? এখনও কাটা হয় নি ? কখন আর কাটবি ? নিয়ে আয় । • • • ওহে সুশীল, তোমরাও বসে পড়, দাড়িয়ে রইলে কেন সব ? কেনারাম কোথায় গেল ? ডেকে নিয়ে এস। বাঃ, চা খেয়ে নাও সকলে একসঙ্গে-ন না, দেওয়ার লোকের অভাব হবে না । -ওই ছবিখানা কার ? বেশ সুন্দর চেহারা-আজ্ঞে, আমার স্বৰ্গীয় পিতৃদেবের ! ফ্রেঞ্চ গভর্নমেণ্টের দেওয়ান ছিলেন-একেবারে ডান হাত বা বা হাত । আর ওই বা পাশে আমার পিতামহ। আমাদের আদি বাড়ী শশধরপুর, নিমতের কাছে। আমার ঠাকুরদাদার বাবার নামে গ্রামের নাম-নিমকির দারোগ ছিলেন সেখানে। ওই অঞ্চলে জমিদারী কেনেন-ওরে সিঙাড়া আরও নিয়ে আয়-খান খান-গরম সিঙাড়া সব বাড়ীতে তৈরী-দোকানের জিনিস মশাই এ বাড়ীতে ঢোকে না। আমার বড়বৌমার হাতে ভাজা সব। বড় ছেলে ? সে এখানে নেই-কাস্টমস-এ কাজ করে-এবার আড়াই-শ হল-বিয়ে দিয়েছি আজ পাঁচ বছর-তায় শ্বশুরও জমিদার-রায় সাহেব হরিনাথ বঁাড়ুজ্যে, হালিসহরের-নাম শুনেছেন বোধ হয় ? চা ჯ\Sმ8