পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প -ইদিকে তো আর চলে না । হাজারী মেছুনি রোজ তাগাদ আরম্ভ করেচে, গায়ের মাংস খুলে খাচ্ছে। দুধওয়ালী আজ সকালেও তাগাদ দিয়েচে—তাদের বলে রেখেচি তুমি আজ মাইনে আনবে। —ত। আজি না দিলে আমি কি করবে। ? -চালও বাড়ন্ত । কাল কি হবে তার ঠিক নেই। কি খেয়ে কাল ইস্কুলে যাবে ? কাপড় একজোড়া না। কিনলে এমাসে, বাড়ী থেকে আর বেরুনো যাচে না । --না যায় বেরিও নাএই কথায় গৃহিণী তেলেবেগুন জ্বলিয়া উঠিয়া ধুন্ধুমার ঝগড়া শুরু করিলেন । বড় মেয়ে আসিয়া বলিল-বাবা, আমার বই এনে দিলে नों ? - शे ? —কবিতা সোপান, দ্বিতীয় ভােগ । না। কিনলে বুড়ে মাস্টার রোজ বকে । তুমি কালই কিনে দাও বাবা । -আচ্ছা, আচ্ছা, হবে । এখন যা । গৃহিণী ও ঘর হইতে গলা চড়াইয়া বলিলেন-কাল থেকে তোর ইস্কুলে যেতে হবে না । যতদিন না বই কেনা হয়, ততদিন ইস্কুলে যাবি নে, খবরদার বলচি । সংসার অসার তো বটেই, ঘোর অশান্তিময়। এসব তিনি গ্ৰাহ্যু করেন না, স্ত্রী বকিতেছে বকুক। নারীজাতির স্বভাবই ওই ! তাহার মন ব্ৰহ্মোপলব্ধির পস্থায় শনৈঃ শনৈঃ অগ্রসর হইয়া চলিয়াছে, এসব সাংসারিক ঝগড়া দ্বন্দ্ব অতি তুচ্ছ জিনিস, তিনি এসবের উদ্ধে আছেন । চিরকাল তো তোমাদের দাসত্ব করিলাম, এখন জ্ঞানচক্ষু ফুটিয়াছে, চোখ রাঙাইয়া আর সাবেক পথে ফিরাইতে পরিবে না । বাকতেছে, বকিয়া মরুক । মানুষ কত সহজে দেবতা হয়, তঁাহার জানা ছিল না । দেবতা কে, so