পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আইনস্টাইন ও ইন্দুবালা দীর্ঘ কেশ ও স্বল্পভরা অপূর্ব চােখের দিকে চাহিয়া রায় বাহাদুরের মুখের কথা মুখেই রহিয়া গেল। কল্পনা প্রখর না হইলে হয়তো বড় বৈজ্ঞানিক হওয়া যায় না, রায় বাহাদুর ভাবিলেন। কি একটা বলিতে যাইতেছিলেন, আইনস্টাইন পাশের ছোট টেবিল হইতে চুরুটের বাক্স আনিয়া রায় বাহাদুরের সম্মুখে স্থাপন করিলেন। নিজের হাতে একটি মোটা চুরুট বাহির করিয়া ছুরি দিয়া ডগা কাটিয়া রায় বাহাদুরের হাতে দিলেন। রায় বাহাদুরের বাঙালী মন সংকুচিত হইয়া উঠিল। অত বড় বৈজ্ঞানিকের সামনে সিগার ধরাইবেন তিনি, জনৈক হেঁজিপোঁজি অঙ্কের মাস্টার ? তাছাড়া সাহেবও তো বটে, সেটাও দেখিতে হইবে তো । সাহেব জাত কঁাচাখেগো দেবতার জাত । রায় বাহাদুর একটা সিগার তুলিয়া বলিলেন—“আপনি ?” —“ধন্যবাদ। আমি ধূমপান করি নে ৷” —“es ” -“কি, বলুন ।” -“রানাঘাটে সভা করলে কেমন লোক হবে আপনার মনে হয় ? কেমন জায়গা রানাঘাট ?” -“জায়গা ভালই। লোকও হবে।” —“কিছু টাকা এখন দরকার। যা ছিল জার্মানিতে রেখে এসেছি। ব্যাঙ্কের টাকা এক মার্কও তুলতে দিলে না, একরকম সর্বস্বান্ত।” -“আমি রানাঘাটে বিশেষ চেষ্টা করছি, সার ।” -“ওখানে বড় হল পাওয়া যাবে কি ?” -“তেমন নেই। তবে মিউনিসিপ্যাল হল আছে, মন্দ নয়, কাজ চলে যাবে।” রায় ৰাহাদুর কিছুক্ষণ পরে বিদায় লইতে চাহিলেন, ভাবিলেন এত বড় লোকের সময়ের ওপর অত্যাচার করিবার দরকার नांई । আইনস্টাইন বলিলেন-“আমার কিছু ছাপা কাগজ ও বিজ্ঞাপন RS