পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

आहेबगं}:शेब ७३ झेलूदांना মনে চটিয়া গেলেন। এমন জায়গাতেও তিনি আনিতে চলিয়াছেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম বৈজ্ঞানিক আইনস্টাইনকে। এ কি পাটকলের ম্যানেজার, না রেলের টি. আই, যে “সাহেব’ ‘সাহেব’ করবি ? বুঝে সুঝে কথা বলতে হয় তো ! মুখে বলিলেন,-“হাঁ, তা বটে।” ভাইস-চেয়ারম্যান শ্ৰীগোপালবাবু তার অমায়িক আতিথেয়তার জন্যে রানাঘাটে প্ৰসিদ্ধ। চা আসিল, সঙ্গে এক রেকবি খাবার আসিল । রায় বাহাদুর চা-পানান্তে আরও নানা স্থানে ঘুরিবেন বলিয়া বাহির হইলেন। অনেকের সঙ্গে দেখা করিতে হইবে, অনেক কিছু ঠিক করিতে হইবে । যাইবার সময় বলিলেন-“মিউনিসিপ্যাল হলের চাবিটা-” শ্ৰীগোপালবাবু বলিলেন—“আমাদের হলের চাকর রাজনিধিকে এখনই পাঠিয়ে দিচ্ছি। আমার বাসার চাকরীও যাবে । ওরা হল। খুলে সব ঠিক করবে। সেখানে ফ্রী রিডিং রুম আছে, সকালে আজ ছুটির দিন খবরের কাগজ পড়তে লোকজন আসবে। তাদের মধ্যে যারা ছেলে-ছোকরা তাদের ধরে বেঞ্চি সাজিয়ে নিচ্ছি। কিছু ভাববেন না ।” শ্ৰীগোপালবাবু স্নান করিয়া বাড়ীর মধ্যে ঢুকিতেই তঁাহার বড় মেয়ে ( শ্ৰীগোপালবাবু আজ তিন বৎসর বিপত্নীক, বড় মেয়েটি শ্বশুরবাড়ী হইতে আসিয়াছে, সেই সংসার দেখাশুনা করে) বলিল,-“বাবা আমাদের পাচখানা টিকিট করে এনে দাও।” Ο -“কিসের টিকিট ?” -“বা রে, বাণী সিনেমায় ওবেলা ইন্দুবালা অসেছে-নাচগান হবে । সবাই যাচ্ছে আমাদের পাড়ার ।” -“কে যাচ্ছে ?” -“সবাই! এই মাত্তর রাণু, অলঙ্কা, টোপি, যতীন কাকার মেয়ে ঢেঁড়স-এর এসেছিল। ওরা সব বক্স নিচ্ছে একসঙ্গে-বক্স নিলে Sዓ