পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প ইস্টিশানে দাড়িয়ে থাক দাৰ্জিলিং মেলের সময়ে-দেখা না কত সায়েব দেখবে । কিন্তু ভায় এ সুযোগ-বুঝলে না ?” "শ্ৰীগোপালবাবু অন্যমনস্কভাবে বলিলেন,-“তা-তা-কিন্তু, তবে রায় বাহাদুরকে কথা দেওয়া হয়েছে কিনা, তিনি কি মনে করবেন--” রাধাচরণবাবু মুখ বিকৃত করিয়া খিচাইবার ভঙ্গিতে বলিলেন,- “হঁ্যাঃ! কথা দেওয়া হয়েছে রায় বাহাদুরকে ! ভারি রায় বাহাদুর। এত কি ওবলিগেশন আছে রে বাবা । বলে এখন, বাড়ীর মেয়েরা সব গোল তাই আমায় যেতে হোল । তারা ধরে বসল। তা এখন কি করি । বলি কথাটা তো নিতান্ত মিথ্যে কথাও নয় ।” শ্ৰীগোপালবাবু অন্যমনস্কভাবে বলিলেন—“তা-তা-তা তো বটেই। সে কথা তো—” রাধাচরণবাবু বলিলেন,-“রায় বাহাদুর এলে বলে। এখন তাই । তাকেও অনুরোধ করা না বাণী সিনেমায় যেতে ।” -“চললেন ?” -“চলি । ওবেলা আসব ঠিক সময়ে।” রায় বাহাদুঃ স্থানীয় জমিদার নীরেন চাটুয্যের বাড়ীতে বসিয়া সভা সম্বন্ধে পরামর্শ ও আয়োজন করিতেছিলেন । নীরেনবাবু রায়বাহাদুরের মাসতুতো ভাই, স্থানীয় জমিদার ও উকিল । উকিল হিসাবে হয়তো তেমন কিছু নয়, কিন্তু জমিদারির আয় ও পূর্বপুরুষসঞ্চিত অর্থে, রানাঘাটের মধ্যে অনেকেই তাহার সঙ্গে পারিয়া উঠেন না । শিক্ষিত লোকও বটে । রায় বাহাদুর গুরুভোজন করিয়া উঠিয়াছেন মধ্যাহেঃ । ধনী মাসতুতো ভাই-এর বাড়ীতে মধ্যাহ্নভোজন রীতিমত গুরুতর। দুএকবার নিদ্রাকর্ষণ হইতেও ছিল, কিন্তু কর্তব্যের খাতিরে শুইতে १ांब्रन नांझे ।