বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প রায় বাহাদুর বুঝিলেন তঁর মাসতুতো ভাইটির দরদ কোথায়। সেসব কথা বলিয়া কোন লাভ নাই, এখন কোন রকমে কাৰ্যসিদ্ধি হইলেই হয়। কোন রকমে আজ মিটিং চুকিলে বাঁচেন । বাড়ীর ভিতর হইতে নীরেনবাবুর মেয়ে মীনা আসিয়া বলিল,-“ও জ্যাঠামশায়, বাবাকে বলে আমাদের টিকিটের টাকা দিন ।” নীরেনবাবু ধমক দিয়া বলিলেন,-“যা যা বাড়ীর মধ্যে যা, এখন বিরক্ত করিাসনি। ব্যস্ত আছি ।” মীনা আৰদারের সুরে বলিল,-“তোমাকে তো বলিনি বাবা, জ্যাঠামশাইকে বলছি।” রায় বাহাদুর জিজ্ঞাসা করিলেন,-“কিসের টিকিট রে মীনু ?” মীনা বলিল,—“আপনি কোথায় থাকেন যে সর্বদা । আমাদের পাশের বাড়ীর সবিতা আপনাদের কলেজে পড়ে, সে বলে আপনি নাকি পথ চলতে চলতে অঙ্ক কষেন। সত্যি, হ্যা জ্যাঠামশাই ?” নীরেনবাবু পুনরায় ধমকের সুরে বলিলেন,-“আঃ, জ্যাঠা মেয়ে ! যা এখান থেকে । জ্বালালে দেখছি। কিসের টিকিট জানেন দাদা, ঐ যে ইন্দুবালা নাকি আজ আসছে আমাদের এখানকার বাণী সিনেমাতে, নাচগান হবে, কি নাকি বক্তৃতাও দেবে, তাই পাড়াসুদ্ধ ভেঙে পড়েছে দেখবার জন্যে । মেয়ের তো সকাল থেকে জ্বালালে ।” --“তা দাও না। ওদের যেতে । আইনস্টাইনের লেকচারে আর ওরা কি যাবে। তবে দেখে রাখলে একথা বলতে পারত। সারাজীবন । কি রে মীনু, কোথায় যাবি ?” —“আমরা জ্যাঠামশাই সিনেমাতেই যাই । ‘মিলন’ ফিলমে ইন্দুDDBD BD K DBDT SB DT DBD TSBB BD SSSDDD অমান লোক আসবে।--” রায় বাহাদুর বাকিটুকু যোগাইয়া বলিলেন,-“স্বপ্নের অগোচর ! তাই না মীনু ? টিকিটের দাম দিয়ে দাও মেয়েকে, ওহে নীরেন।” 9&
