পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আইনস্টাইন ও ইন্দুবালা মীনা এবার সাহস পাইয়া বলিল,-“আপনাকে আর বাবাকে যেতে হবে। আমাদের নিয়ে । সে শুনছি নে। বাবার মনে মনে ইচ্ছে আছে জ্যাঠামশায়। শুধু আপনার ভয়ে-” নীরেনবাবু তাড়া দিয়া বলিলেন,—“তবে রে দুষ্ট মেয়ে—” মীন হাসিতে হাসিতে বাড়ীর ভেতর চলিয়া গেল । যাইবার সময় বলিয়া গেল,-“বাবা তোমাকে যেতেই হবে আমাদের নিয়ে । ছাড়ব না বলে দিচ্ছি।” দাৰ্জিলিং মেলের সময় হইয়াছে। বেলা সাড়ে পাচটা । রায় বাহাদুর ও কয়েকজন ছাত্ৰ, নীরেনবাবু ও শ্ৰীগোপাল বাবু স্টেশনের প্লাটফর্মে উপস্থিত হইলেন । কিন্তু-একি ? এত ভিড় কিসের ? প্লাটফর্মের চারিদিকে এত ছোকরা ছাত্র, লোকজনের ভিড় ! সত্যই কি আজি আইনস্টাইনের উপস্থিতিতে এখানকার সকলের টনক নড়িয়াছে ? ইহারা সকলেই দাৰ্জিলিং মেলের সময় আসিয়াছে তাহাকে নামাইয়া লইতে। অত বড় বৈজ্ঞানিকের অভ্যর্থনা বটে ! লোকে লোকারণ্য প্লাটফর্ম । হৈ হৈ কাণ্ড । রায় বাহাদুর পুলকিত হইলেন। সশব্দে মেলট্রেন আসিয়া প্ল্যাটফর্মে প্ৰবেশ করিলা । a একটি সেকেণ্ড ক্লাস কামরা হইতে ছোট একটি ব্যাগ হাতে দীর্ঘকেশৰ আয়তচক্ষু আইনস্টাইন অবতরণ করিলেন । সঙ্গে সঙ্গে পাশের একটি ফাস্ট ক্লাস কামরা হইতে জনৈক সুন্দরী তরুণী, পরনে দাম ভয়েনা; শাড়ী, পায়ে জরিদার কাশ্মীরী স্যাণ্ডাল-হাতে ভ্যানিটি ব্যাগ কুলাইয়া নামিয়া পড়িলেন। তরুণীর সঙ্গে আরও দুটি তরুণী, দু’টিই শ্যামাঙ্গী-দু’জন চাকর, তারা লগেজ নামাইতে ব্যস্ত হইয়া পড়িল । কে একজন বলিয়া উঠিল,-“ঐ যে নেমেছেন । ঐ তো ইন্দুবালা *-س-iة মুহুর্তমধ্যে প্ল্যাটফর্মসুদ্ধ লোক সেদিকে ভাঙিয়া পড়িল। সেই ክ9© সৱস, গল্প-৩