পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अiश्नर्जीछेन ७ ईन्यूबाना শব্দের ও ‘এই এই’ ‘গেল গেল’ রবের মধ্যে র্তাহার প্রশ্নটা চাপা পড়িয়া গেল। স্টেশন ও ভিড় ছাড়াইয়া কিছুদূর অগ্রসর হইতেই মোড়ের মাথায় শ্ৰীগোপালবাবু ও নীরেনবাবু নামিয়া গেলেন। রায় বাহাদুর বলিলেন,-“এখুনি আসবেন তো ?” শ্ৰীগোপালবাবু কি বলিলেন ভাল বোঝা গেল না । নীরেনবাবু বলিলেন, “ওখানে ওদের পৌছে দিয়েই আসছি। আর কেউ বাড়ীতে লোক নেই মেয়েদের নিয়ে যেতে । টিকিটে এতগুলো টাকা যখন গিয়েছে।--” ঐ সামনেই মিউনিসিপ্যাল হল । স্টেশনের কাছেই । কিন্তু এ কি ? সাড়ে পাচটা সময় দেওয়া ছিল । পৌনে ছটা হইয়াছে, কেউ তো আসে নাই। জনপ্ৰাণী নয় । কেবল মিউনিসিপ্যাল অফিসের কেরানী জীবন ভাদুড়ি একটা ছোট টেবিলে অনেকগুলি টিকিট সাজাইয়া শ্রোতাদের কাছে বিক্রয়ের জন্য অপেক্ষা করিতেছে। মোটর হলের সামনে আসিয়া দাড়াইতে আইনস্টাইনের হাত ধরিয়া নামাইলেন রায় বাহাদুর। মুখে হাসি ফুটাইবার চেষ্টা করিয়া বলিলেন,-“হে বৈজ্ঞানিক শ্রেষ্ঠ, সুস্বাগতম। আমাদের রানাঘাটের মাটিতে আপনার পদার্পণের ইতিহাস সুবৰ্ণ অক্ষরে অক্ষয় হয়ে বিরাজ করুক।---আমরা রানাঘাটবাসীরা আজ ধন্য ।” চকিত ও উদ্বিগ্ন দৃষ্টিতে শূন্যগর্ভ হলের দিকে চাহিয়া দেখিলেন সঙ্গে সঙ্গে । লোক কই ? রানাঘাটবাসীদের অন্যান্য প্ৰতিনিধিবর্গ কোথায় ? আইনস্টাইন বিস্মিত দৃষ্টিতে জনশূন্য হলের দিকে চাহিয়া বলিলেন, —“এখনও আসেনি। কেউ ? সব স্টেশনে ভিড় করছে। মিঃ মুখার্জি, একটা ব্ল্যাক-বোর্ডের ব্যবস্থা করতে হবে যে। বক্তৃতার সময় ব্ল্যাকবোর্ডে আঁকবার দরকার হবে ।” .මෙ