পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প আর ব্ল্যাকবোর্ড। রায় বাহাদুর স্থানীয় ব্যক্তি। নাড়ীজ্ঞান আছে এ জায়গার। তিনি শূন্য ও হতাশ দৃষ্টিতে চাহিতে লাগিলেন । জীবন ভাদুড়ি কাছে আসিয়া চুপি চুপি বলিল,-“মোটে তিন টাকার বিক্রি হয়েছে। তাও টাকা দেয়নি এখন। কি করব বলুন। সারা ? আমাকে কতক্ষণ থাকতে হবে বলুন। আমার আবার বাসার ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাণী সিনেমায় যেতে হবে। কলকাতা থেকে ইন্দুবালা এসেছেন-বাড়ীতে বড় ধরেছে সৰ্ব্ব ৷ পয়ত্ৰিশ টাকা মোটে মাইনেতা বলি, থাক গে, কষ্ট তো আছেই । ওঁদের মত লোক তো রোজ কলকাতা থেকে আসবেন না । যাক, পাচ টাকা খরচ হলে আর কি করছি বলুন। আমায় একটু ছুটি দিতে হবে সার। এ সাহেব কে ? এ সাহেবের লেকচারে আজ লোক হবে না-কে আজ এখানে আসবে সারা ?” জীবন ভাদুড়ি ক্যাশ বুঝাইয়া দিয়া খসিয়া পড়িল ৷ হলের মধ্যে দেখা গেল চেয়ার বেঞ্চির জনহীন অরণ্যে মাত্র দুটি প্রাণী- আইনসটাইন ও রায় বাহাদুর । আইনস্টাইন ব্যাগ খুলিয়া কি জিনিস ত্ৰ টেবিলোয় উপত্নী শ{জাইতে ব্যস্ত ছিলেন, সেগুলি তঁাহার বক্তৃতার সময় প্রয়োজন হইবে সুযোগে রায় বাহাদুর একবার বাহিয়ে গিয়া রাস্তার এপিক ওদি আিদ উদ্বিগ্ন ভাবে চাহিতে লাগিলেন । লোকজন যাইতেছে, ঘোড়ার গাড়ীতে মেয়ের সাজগোজ করিয়া চলিয়াছে, দ্রুতপদে পথিকদল ছুটিয়াছে-সব ৰাণী সিনেমা লক্ষা করিয়া । রায় বাহাদুরের একজন পরিচিত উকিলবাবু ছড়ি হাতে দ্রুতপদে জনসাধারণের অনুসরণ করিতেছিলেন, রায় বাহাদুরকে দেখিতে পাইয়া, বলিলেন,-“এই যে ! সাহেব এসেছেন ? লোকজন কেমন হয়েছে ভেতরে ? আজ আবার আনফরচুনেটলি ওটার সঙ্গে ক্ল্যাশ করল। কিনা ? ܥܒܝ̈܀ 、ナ自ー ve