পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिङ्मङिङ्षम : नन्नन् शन्न বসলে তবুও একটু --নাঃ, দু'চােখের পাতা কাল বুজতে পারি নি। স্বৰ্গ আর সে স্বৰ্গ নেই। ক্রমেই খারাপ হয়ে আসচে। দেবরাজ উদাসীন, একবিন্দু বৃষ্টি পড়ে নি। আজ দশ-পনেরো দিন। তারপর তোমার কাছে একটি এলাম বাবাজী কালিদাস বয়োজ্যেষ্ঠ পূজ্যপাদ কবিকে সাদরে আসন প্ৰদান করিয়া বলিলেন-বিশ্রাম করুন । ব্যজনী কি আনাবো ? —থাকা দরকার হবে না । এটি চম্পক বৃক্ষ দেখচি যে । -আজ্ঞে, নন্দনকানন থেকে দেবরাজের কর্মচারীকে বলে কয়ে একটি চারা আনিয়েছিলাম। তবে এখনো পুষ্প-প্রসবের সময় হয় নি । --সে। কি রকম ? বর্ষাকাল, সে সময় তো উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েচে না कि ? ७qथन्म ८ऊ|- —তা নয় । এ একটি অন্যরকম। আপনি যদি আজ্ঞা করেন, আপনাকে একটি চারা দিতে পারি। -চম্পকের চারা আপাতত আবশ্যক নেই । আমি এসেছিলাম। তোমার কাছে অন্য একটু কারণে। আমাকে সুবন্ধু বলছিল। তোমার ‘মেঘদূত’-এর নাকি বাত্মীয়-আলেখ্য হয়েচে, মর্ত্যে নাকি কোন প্ৰেক্ষাগৃহে দেখানো হচ্চে । এই হল আমার নান্দী। এখন উত্তর দাও । আজ্ঞে আপনার কথা যথার্থ, সুবন্ধু আপনাকে ঠিকই বলেচে। আজ ভাবছিলাম মর্ত্যে গিয়ে দেখে আসব দেব, আপনি সঙ্গে চলুন না ? --নিশ্চয় যাবো । সেই শুনেই তো আমি সকালেই এখানে এলাম । আজকাল মর্ত্যে আমাদের আর আদর নেই ; সংস্কৃত ভাষাটাই ভারতবর্ষে সবাই ভুলে যাচ্চে। এখন সেখানে অন্য ভাষার চর্চা । —আজ্ঞে বহু অর্বাচীন বালক কবির আজকাল সেখানে প্ৰাদুৰ্ভাব। —তবুও তো তোমার কাব্য সেখানে আদৃত হয়, পঠিত হয়। আমার ‘অবিমারক’-এর কথা, ‘স্বপ্ন বাসবদত্তা’র কথা তো সবাই ভুলে 80