পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উডুম্বর এতক্ষণে বাণভট্ট যেন ব্যাপারটা বুঝিতে পারিলেন । বলিলেননা না, অামাকে ক্ষমা করবেন । তাতঃপদ ভাসও চলেচেন দেখাচি । এসব? সুবন্ধুর ক্রিয়াকলাপ আমি জানি । যখন তখন মর্ত্যধামে ঘুরঘুর ক’রে যাওয়ার ফল আর কি। আজকাল কি অতিরিক্ত আসব পান ক’রে থাকো সুবন্ধু ? সুবন্ধু অপ্ৰতিভের সুরে উত্তর দিলেন—না দাদা। —সেদিনও তো দেখলাম বাজুয়-আলেখ্য প্ৰেক্ষাগৃহে- ? --অ্যাঞ্জে না, আপনার ভ্রম হয়েচে ! ও আসব নয়, একপ্ৰকার, বৃক্ষপত্রের কাথ, দুগ্ধ ও শর্কয়া সহযোগে পান করা হয়। একটু আস্বাদ ক’রে দেখছিলাম--মর্ত্যে সবাই খায় --মর্ত্যবাসীদের অলীক বাসনা তোমাকে পেয়ে বসাচে ক্ৰমে ক্ৰমে । আর একটি হচ্চে এই বাত্ময়- আলেখ্য। মর্ত্যে এর প্রাদুর্ভাব অত্যন্ত বেশী। সেদিন এই সুবন্ধুব পরামর্শে ওর সঙ্গে আমার “কাদম্বরী’র বাজুয়-আলেখ্য দেখতে গিয়ে হতাশ হয়ে এসেছি।-- ভাস সাগ্রহে বলিলেন—কেন ? কেন ? -আচাৰ্য ভাস, আপনি প্ৰবীণ ও প্রাচীন, আপনাকে সেই রকম ভক্তি করি, আপনার সামনে আর সে সব কথা বলতে চাই নে। আর কথায় কথায় গীত । না, আমি তো দুঃখে আক্ষেপে চলে এলাম। -সুবন্ধু সব জানে, আবার আপনাদের আজ নিয়ে যাচ্চে সুবন্ধু হাসিয়া বলিলেন, আমি নিয়ে যাই নি দাদা । কালিদাস দাদাই আমাকে বললেন, উনিই আমাকে নিয়ে যাচ্চেন । বরং আপনি ওঁদের জিজ্ঞেস করুন কালিদাস বলিলেন-সে। ঠিক । সুবন্ধু জানতো না। আমি ওকে, যেতে বলেচি। দেখেই আসি কেমন হোলো মেঘদূত। চললাম। ভায়া” বাণভট্ট রাত্রিকাল। কলিকাতায় ‘প্ৰদীপ’ সিনেমাতে ‘মেঘদূত’ হইতেছে। 86