পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষব ; সরস গল্প ভিড় খুব। ডিম ভাজা ও ঘুঘনি, চানাচুর, বাদাম ভাজা, আলু-কাবলিওয়ালাদের পাশ কাটাইয়া কবিদল সিনেমা হলে প্ৰবেশ করলেন । কিছুক্ষণ পরে ছবি আরম্ভ হইল। ছবি কিছুদূর অগ্রসর হইবার পর কালিদাস বিস্ময়ে বলিয়া উঠিলেন-এ কি ? এ কার মেঘদূত ? আমার ○ エリー ভাস বলিলেন-তাই তো । আমিও তাই ভাবচি । —ভবভূতি বলিলেন শুধু নামটাই নিয়েচে । কালিদাস ক্ষোভের সঙ্গে বলিলেন-এ এখানে বসে দেখে*কি করবো । বাণভট্ট ঠিক বলেছিল । চলুন আর সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই । বাহিরে আসিয়া কালিদাস বলিলেন-ওহে সুবন্ধু, তুমি সেই বৃক্ষপত্রের ক্কাথ সেবন করবে নাকি ? —আজ্ঞে না, চলুন। ও অভ্যোস নেই। আমার, দৈবাৎ সেদিন একটু আস্বাদ করেছিলাম মাত্ৰ । এমন সময় দুটি ছোকরা যাইতে যাইতে একজন আর একজনকে বলিতেছে শোনা গেল-‘মেঘদূত’ কার লেখা বই হে ? অপর ছোকরা জবাব দিল-অতীন ঘোষের । --“ভাৰীকাল’ ? —তা জানি নে। বই উঠেচে জানিস ? --কাল একখানা ‘মেঘদূত' আর একখানা ‘ভাবীকাল’ খুঁজে দেখতে হবে পাওয়া যায় কিনা । . কালিদাস পিছন ফিরিয়া চাহিয়া দেখিলেন, তাহার ঠিক পিছনে ছোকরা দুটি । রাগে ও ক্ষোভে কালিদাস কিছুক্ষণ নিৰ্বাক হইয়া রহিলেন । ছবি দেখিয়াও এত রাগ ভঁাহার হয় নাই । ভাসের দিকে চাহিয়া বলিলেন- শুনেচেন এ অর্বাচীন বালক দুটি কি বলচে ? অতীন ঘোষ নামক কোনাে ব্যক্তির লেখা নাকি এই রই। বাত্মীয়-আলেখ্যই 8)