পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिङूङिङ्é : नाम *न করিতেছে, তাহদের খাওয়ার আকাজক্ষা মিটাইতে পারে, ত্ৰিভুবনে হেন •রাপ-মা আজও জন্মগ্রহণ করে নাই। সামান্য বিয়াল্লিশ টাকা বেতনের • স্কুল মাস্টার হরিদাসবাবু এই যুদ্ধের বাজারে আর কত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করিতে পারেন ? খাতা একটি গাদা । সকালে উঠিয়া টিউশন করিতেই সময় কাটিয়া যায়, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে একটা কথাবার্তা বলিবার পর্যন্ত সময় হয় না । বাজার করিতে হয় টিউশনি করিয়া ফিরিবার পথে । বাড়তে গয়াই শুনিতে হয়, গিন্নি বলিয়া বসেন, আজ একখানা শাড়ী দুষ্ঠাখো, যেখানেই হোক, মেয়েটা কি ন্যাংটো হয়ে থাকবে ? তোমার না হয় গা হিম ক’রে বসে থাকলে চলে, আমার তো তা চলে না ? কাপড় কোথা হইতে অসে সে জ্ঞান যদি বাড়ীর মেয়েদের থাকিত । তাহা ছাড়া দু-এক মাস হয়, লোকে পারে । এই ব্যাপার চলিতেছে কি আজ ? কতকাল হইতে এই অবস্থায় তিনি কালব্যাপন করিতেছেন বা আরও কতকাল করিতে হইবে, তাহা কে জানে ? কিন্তু উপায় কি ? উপায় তো কিছুই দেখেন না । এই সময় আর একদিন হেডমাস্টারের কড়া কথা শুনিতে হইল। পরীক্ষার খাতা ভাল করিয়া দাগ দিয়া না দেখার দরুণ । হেডমাস্টার বলিলেন-খাতাগুলো কি আমন ক’রে দেখে ? ওতে ছেলেদের 1ক সুবিধে হবে মশাই ? আপনি আজকাল কাজে বড় অমনোযোগী হয়েচেন, খাতাগুলো ফেরৎ নিয়ে যান, ওতে কাজ চলবে না । সেদিন টিফিনের ছুটিতে স্কুলের গাছতলায় বসিয়া বিড়ি টানিতে টানিতে হরিদাসবাবুর মনে হইল এ বিষম বিপদ হইতে কবে তিনি পরিত্ৰাণ পাইবেন। এই বন্ধন দশা চলিতেছে কতকাল। এমন কি কোনো উপায় নাই, যাহাতে তিনি এই দুঃখ, দারিদ্র ও ক্রীতদাসত্বের বন্ধন 4यgादेgऊ °igझन ? ভগবান এ প্রার্থনা শুনিলেন ।