পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প তাই খাবো । আমি কি বোষ্টম গোসাই ? অপ্ৰতিভ সুরে বলিলাম-আজ্ঞে, ক্ষমা করবেন। বৈষ্ণবেরা নিরামিষ ভোগ আপনাকে নিবেদন করে দেন। কিনা তাই বলছিলাম—আবার অন্যলোকে মাছ-মাংস দিয়ে ভোগ দেয়—মুরগি বলি দেয়, গরু মহিষ, ছাগল কাটে-তাও খাই । আমাক এক অবতারে আমি ভক্তের দেওয়া শূকরের মাংস খেয়ে রোগগ্ৰস্ত হয়ে নরদেহ ত্যাগ করি } —আজ্ঞে জানি, বুদ্ধ অবতারে । --ব্যাপার কি জানো, আদিম নীহারিকাটা ঘুরিয়ে দেবার পরে বিশ্বসৃষ্টি আপনা-আপনি হচ্চে, আমার কোনো কােজ নেই। আজ কোটি কোটি বৎসর ধ’রে বেকার বসে আছি । ঘুরে ঘুরে বেড়াই, কোথায় কি হচ্চে দেখি । এখন আমি শুধু দ্রষ্টা ও সাক্ষী মাত্র। জগতে দেখতে পাই আমায় কেউ চায় না, কেউ বোঝে না-একা এক থাকি। সর্বত্রই আছি অথচ কেউ ফিরে চেয়েও দেখে না । কেউ মানে না। আজকাল আর, বলে উনি তো বেকার । জগৎ আপনা-আপনিই 5नष्का, खैद्र आांत्रशुक्रडा दा कि ? কষ্ট হইল বেচারীর জন্য । এমন সুরে কথা বলিলেন, তার উপর কেমন একটা মায়াও হইল । মানুষ বেকার হইত, চেষ্টা যত্ন করিয়া একটা কাজ জোগাড় করিয়া দিতাম । ভগবানের বেকার-সমস্যার সমাধান করা আমার সাধ্যায়ত্ত নয়। সামনেই চিৎপুর রোড। বড় ট্রাফিকের ভিড় । পিছনে ফিরিয়া বলিলাম-আসুন, এই সামনেই “আনন্দবাজার আপিস’-আপনার ফটোটা তাহলে আহ্নলাদের সুরে বলিলেন-বেশ, চলো চলো- ওদের আমার পরিচয়টা দিয়ে দিও و 68