পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'বিভূতিভূষণ : সরস গল্প মূলে জাকিয়া বসিয়া আমায় বলিল-বাঙালীদের মত লুচি কবে খাওয়াচ্ছেন মিঃ রায় ? ও আমার বড় ভাল লাগে। আমি বাঙালীদের সঙ্গে একবার মিশেছিলাম-লুচি খাইয়েছিল। সে এখনও ভুলিনি। শুনিয়া মনে মনে বলিলাম-নবীনদার পিত্তি জ্বলে যেত-যদি কথাটা শুনত । ভাগ্যিস নেই। এখানে । যে অভ্যর্থনার ঘটা তেঁার ! কয়লা চাকরকে ডাকিয়া খানকতক লুচি ভাজিতে বলিতে গিয়া শুনিলাম ঘি ও ময়দা বাজার হইতে না আনিলে চলিবে না, ফুরাইয়া গিয়াছে। বুঝিলাম অতিথির অদৃষ্ট লুচি নাই। নবীনবাবু হয়তো ইতিমধ্যে আসিয়া পড়িতে পারেন। দরকার নাই সেসব হাঙ্গামায়। চা ও টেস্ট খাওয়াইয়া দিলাম মূলোকে । মূলো তাহার স্বভাব-সিদ্ধভাবে বকিতে শুরু করিয়া দিল।। বকুনি আর থামায় না, বেলা নটা বাজিয়া গেল, তবুও তাহার হু’শ নাই। ইতিমধ্যে নবীনবাবু আসিয়া পড়িলেন, মূলোকে তখনও বািসয়া থাকিতে দেখিয়া বিরক্তির সহিত অন্যদিকে মুখ ফিরাইয়া বলিলেন-মূলোটা এখনও যায়নি ? হর্স র্যাডিশটা ? --না গেলে তো তাড়িয়ে দিতে পারি। নে ! ও বলছে আমাদের সঙ্গে খিনসি লেক দেখতে যাবে। --মাটি করেছে ! স্যারলে দেখছি । মূলে আমাদের কথাবার্তা বুঝিতে না পারিয়া বলিল-মিঃ রায়, -“খিনসি লেক সম্বন্ধে কি বলছেন ? নবীনবাবু তাহার দিকে ফিরিয়া বলিলেন, অবশ্য ইংরেজিতেখিনসি লেক সম্বন্ধে একটা পরামর্শ করছি। ওর সঙ্গে। আপনি আসবেন • নাকি আমাদের সঙ্গে ? --নিশ্চয় মিঃ বোস, খুব খুশীর সঙ্গে । --বেশ বেশী। বড় আনন্দ হোল। বড় খুশী হোলাম । আমি বললাম-মিঃ শুকরামের মত সঙ্গী পেলে তো খিনসি তো খিনসি, উত্তর মেরুতে গিয়েও সুখ আছে। Vo