পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বসূত্রে আবদ্ধ হইয়া সে লাভবান হইয়াছে। এজন্য সে মাঝে মাঝে গর্বও কারিত । মুলোর মুখে শুনেছিলাম ম্যাঙ্গানিজ খনির ম্যানেজারের সঙ্গে তার আলাপ আছে। গাড়ী জবলপুর রোডের উপর খনির সামনে দাড়াইতেই সে দোর খুলিয়া ছুটিয়া গেল ম্যানেজারকে খবর দিতে যেন আমরা লাটসাহেব আসিয়াছি মানসারের ম্যাঙ্গানিজ খনি দর্শন করিতেএমনভাবে সে হস্তদন্ত অবস্থায় আমাদের সঙ্গে পরিচয় বারাইয়া দিল । ইনি মিঃ বোস, ইনি মিঃ রায়-বাঙালী, খুব পণ্ডিত লোক এঁরা দুজনেই। আমার বিশেষ বন্ধু । কি মুশকিল! পাণ্ডিত্যের মধ্যে তো আমরা করি ইনসিওরেন্সের দালালি ! অবশ্য আমাদের প্রাচীন কীতি ও পুরাতত্ত্বের ওপর কিছু বোক আছে--কিন্তু সে ফটোগ্রাফির দিক হইতে, বিদ্যা বা পাণ্ডিত্যের দিক হইতে নয় । মুলোর কাণ্ড দেখিয়া আমরা মনে মনে কৌতুক অনুভব করিলাম। ম্যানেজার নাগপুরের লোক, ছিন্দাওয়ারা জেলার আধিবাসী, বেশ ইংরেজি বলে। জব্বলপুর রোডে গড় দাড় করাইয়া আমরা প্ৰায় দু'শ ফুট চড়াই ভাঙিয়া খনির মুখে গিয়া পৌছিলাম। একটা ক্ষুদ্র ডানকি এঞ্জিনে খাদের জল তুলিয়া লম্বী রবার ও তারের নল দিয়া পাহাড়ের পাশ দিয়া ফেলিয়া দেওয়াতে ছোটখাটো একটা জলপ্রপাতের সৃষ্টি হইয়াছে--সেটা দেখিয়া আমরা সঞ্চলে খুশী হইলাম। ম্যানেজার আমাদের চা পান করিতে বলিলে আমরা অস্বীকার করিয়া আবার নাচে নামিয়া আসিয়া মোটরে উঠিলাম। ম্যানেজারকে যথেষ্ট ধন্যবাদ দিলাম, কষ্ট করিয়া আমাদের সব দেখাইবার জন্য । গাড়ী পুনরায় চলিল। নবীনদা কহিলেণ-মূলো বডড গণ্ডগোল করে। আমাদের নিয়ে ዪቌ8