পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুলো-র্যাডিশ-হির্স র্যাডিশ এমন করছিল• • • মূলো জিজ্ঞাসা করিল--কি, মিঃ বোস ? তাহার আবার সকল কথারই মানে জানা চাই । নবীনদা বলিলেন-চমৎকার খনিটা, তাই বলছিলাম । —ও, তা র্যাডিশের কথা কি বলছিলেন ? এখানে তো র্যাডশ, পাওয়া যায় না ! আমরা দুজনে হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিলাম। নবীনদা বলিলেন, -ওটা একটা বাংলা ইন্ডিয়ম মিঃ শুকরাম । ভাল জিনিসকে বাংলায় আমরা মূলো বলি । —তাই নাকি ? হাউ ইণ্টারে ঈং ! আমি বাংলায় বলিলাম,-তোমার মুণ্ডু-বোকারাম কোথাকার! নবীনদা বলিলেন—মূলো আর সাধে বলে ! একেবারে হর্স द्र7ांख्रिश्* ! রামটেকের পাহাড় বঁাদিকে রাখিয়া কিছু দূর গিয়া রিজার্ভ ফরেস্টের নিবিড় ছায়ােভর বীথিপথে চড়াই-উৎরাই ভাঙিয়া মোটর অপেক্ষাকৃত ধীরে চলিতেছে। শরৎ-অপরাষ্ট্রের অপূর্ব শোভা বনতালে। কোথায় যেন পাকা আতার গন্ধ, দু-একটা বনফুলের সুবাসের সঙ্গে শেফালির পরিচিত সুবাস ভাসিয়া আসিতেছে বাতাসের ঝাপটায়। এমন শোভার মধ্যে বসিয়া আমরা কিছুক্ষণের জন্য ইনসিওরেন্সের দালাল বিস্মৃত হইয়া গেলাম । খিনসি হ্রদে উঠিবার সময় পাহাড়ের পাশে ঘুরিয়া ঘুরিয়া পথ । অনেক দূর উঠিয়া গেলে শৈলবেষ্টিত হ্রদের শান্ত জলরাশি দৃষ্টিগোচর হয়। চতুদিকের শৈলসানু ঘন বনে সমাকীর্ণ, স্থানটা নিতান্ত নির্জন। একদিকে অপরাঙ্গুের ছায়া, অপর পারের পাহাড়ের গায়ে হলুদ রঙের রোদ । হ্রদের এপারের ডাকবাংলোয় গিয়া আমরা চৌকিদারকে ডাকিয়া চেয়ার বাহির করাইয়া বসিলাম। চৌকিদার আমাদের নির্দেশমতে সরস গল্প-৫