পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মূলো-র্যাডিশ-হার্স র্যাডিশ এত বড় বড়, আটার তৈরি, ভেতরে ছাতু, ঘুটের আগুনে সেঁকে ঘি দিয়ে খায়, আলুর চোখ আর বেগুনের ভর্তার সঙ্গে। নবীনদা বলিলেন—মূলোর সঙ্গে নয় ? --নো, র্যাডিশ ইজ নট ইটন --আশ্চৰ্য ! —হোয়াই আশ্চৰ্য ? র্যাডিশ ইজ মাচ রেলিশড ইন বেঙ্গল ইট সিমস্য-বাট নট সো ইন আওয়ার কাষ্টি । -বুঝলাম । ی۔ --আচ্ছা, এই দুর্গের পাচিলটা এত চওড়া কেন ? মূলোর স্কুল বুদ্ধিতে আর কতটুকু বোঝা সম্ভব ? তাহাকে বুঝাইয়া দিলাম, পেশোয়াদের সময়ে এই মন্দিরটি দুর্গের মত করিয়াই তৈরি হয় --আসিবার পথে অতগুলি ফটক দেখিয়া তাহা সে নিশ্চয়ই কিছু আন্দাজ করিয়াছে। পেশোয়া বালাজি বিশ্বনাথ এই মন্দির-দুর্গ নির্মাণ করিয়া এখানে একটি গুপ্ত ধনাগার স্থাপন করেন । আকস্মিক রাষ্ট্রবিপ্লবের দিনে নাগপুর হইতে বিশ-বাইশ ক্রোশ দূরবতী এই অরণ্যাবৃত পাহাড়ের চূড়ায় রামসীতার মন্দিরে তঁাহার ধনভাণ্ডার অনেকটা নিরাপদ থাকিবার ভরসাতেই এটি নির্মিত হয়। বিশেষত তখনকার যুগে না ছিল রেল, না ছিল এখনকার দিনের মত চওড়া মোটর রোড। রামটেকের পাহাড় ছিল দুৰ্গম অরণ্যভূমির অন্তরালে—শত্ৰু সন্দেহ করিবে না যে জঙ্গলের মধ্যে কোথায় কোন পাহাড়ে রামসীতার মন্দিরসেখানে আবার ধনভাণ্ডার থাকিতে পারে। তবুও সাবধানের মার নাই ভাবিয়া বালাজি বিশ্বনাথ মন্দিরটিকে দুর্গের মত করিয়াই নির্মাণ করেন --মন্দিরকে মন্দির, দুৰ্গকে দুর্গ। আবশ্যক হইলে কিছুকাল ধরিয়া এখানে শত্রুর আক্রমণ প্ৰতিহত করাও চলিতে পারিত। জলের অভাব দূর করিবার জন্য পাহাড়ের নীচে একটি পুষ্করিণী খনন করা হয়—আসিবার সময় যে পুকুরটা ডান দিকে পড়িয়াছিল। মূলে আমার মুখে রামটেকের Vs