পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প ইতিহাস শুনিয়া কিছুক্ষণ চুপ করিয়া রহিল। পরে বলিল-আপনি এসব নিয়ে খুব নাড়াচাড়া করেছেন দেখছি, বহুৎ পড়াশুনো করেছেন । এইজন্যেই তো বাঙালীদের আমি বড় ভালবাসি-বাঙালীর সঙ্গে আলাপ করলে আমার মন বড় খুশী হয় । মন্দিরের আরতি থামিয়াছিল । আমি বলিলাম-এখানে একটা অস্ত্রাগার আছে বইয়ে পড়েছি—চলুন সেটা দেখে আসি সবাই, এখনও उाitछ दtव्ल स्क्रान् ि। মন্দিরের পুরোহিত বৃদ্ধ রংড়ে ব্ৰাহ্মণ, পূর্বেই পরিচয় পাইয়াছিলাম। তিনি প্ৰথমে আপত্তি তুলিলেন, রাত্রে অস্ত্রাগার দেখানোর নিয়ম নাই -অবশেষে আমাদের নিতান্ত নাছোড়বান্দা দেখিয়া, বিগ্ৰহ যেখানে থাকেন তাহার পাশের একটা কুঠুরি খুলিয়া দিলেন। আমরা টর্চের আলোয় সেখানে মারাঠী যোদ্ধাদের প্রকাণ্ড চওড়া দুধার তলোয়ার, সাতহাত লম্বা বন্দুক, বিশাল ঢাল, লোহার জালের টুপি ও বর্ম, নানা রকমের তীর, আরও কত কি অস্ত্রশস্ত্ৰ দেখিলাম। যোদ্ধৃজাতির যুদ্ধের উপকরণ পাঁচ রকম থাকিবে-ইহার মধ্যে আশ্চর্য হইবার কিছু নাই। প্ৰশংসার ভাব মনে জাগিত হয়তো, যদি বগির হাঙ্গামার কথা মনে না। ऐठेिऊ । মুলো বলিল-এ আর কি, যোধপুর ওল্ড ফোটে একটা মিউজিয়াম আছে, সে এর চেয়ে অনেক বড়। কোন কিছু দেখিয়া আশ্চৰ্য হইবার ক্ষমতা একটা বড় ক্ষমতা-এ ক্ষমতা সকলের থাকে না, মূলোর মধ্যে তাহা থাকিবার আশা করি নাই ; সুতরাং বিস্মিত হইলাম না। নবীনদা বলিলেন-আপনাদের দেশে যোধপুরে একবার নিয়ে যাবেন আমাদের ? অস্ত্রাগার দেখে আসব। -নিশ্চয়ই। ইন ফ্যাক্ট, আমাদের নিজ বাড়ীতেই একটি অস্ত্রাগার আছে, আমার পূর্বপুরুষের আমলের। ዓመ