পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মূলো-র্যাডিশ-হাির্স র্যাডিশ দিনের জন্য দেশে গেল। আমাদের বার বার অনুরোধ করিয়া গেল, আমরা যেন তাহাকে না ভুলি-চিঠি দিলে যেন উত্তর দিই। দুই মাস কাটিয়া গেল । হঠাৎ একদিন আমাদের অত্যন্ত আশ্চৰ্য করিয়া দিয়া ডাক্তার সোরাবাজি তাহার কন্যার বিবাহে আমাদের নিমন্ত্ৰণ করিয়া গেলেন। শুনিলাম পাত্ৰ পুণার মেডিকেল অফিসার, আই এম এস পদবীর লোক । মোটা বেতন পান । আমরা বন্ধুর প্রতি কর্তব্য স্মরণ করায়া বলিলাম,-ও, আমরা জানতাম মিঃ শুকরাম বৃদ্ধ ডাক্তার র্যাগত-ভাবে বলিলেন, সে একটা লোফার, আগেই বলেছি। গেজেটটা দেখেছেন ? তার নাম খুজে দেখবেন কোথাও নেই। আর আমার মেয়ে ফাস্ট ক্লাস অনার্স পেয়েছে। আমরা সত্যিই দুঃখিত হইলাম মূলোর জন্য। এত কথার পর বিকেলে যখন মূলো আসিয়া জানাইল মিস সোরাবাজি ও আমাদের লইয়া সে পরদিন পিকনিকে যাইবে, তখন আশ্চৰ্য হইয়া গেলাম। নবীনদা হাঙ্গামায় পড়ার ভয়ে প্রথমটা যাইতে চাহলেন না। —কিন্তু শেষে যখন মূলোর মুখে শুনিলাম, মিস সোরাবাজির ভাইও এই সঙ্গে যোগ দিবে। তখন আমাদের যাইতে কোন আপত্তি রহিল। 可}上 গোরেওয়াড় হ্রদের ধারে পিকনিক ঠিক হইয়াছিল। পরদিন সকালে দল বঁাধিয়া দুখান মোটরে হ্রদের ধারে পৌছিলাম। নাগপুরের পাহাড়ের মধ্যে যতগুলি হ্রদ আছে। এটি সর্বাপেক্ষা বড়, দৃশ্যও চমৎকার। আমরা উত্তর পাড় ধরিয়া হ্রদের ওপারে অনুচ্চ পাহাড়ের তলায় বড়বড় তিন্দুক গাছের ছায়াতে আমাদের বনভোজনের স্থান নির্দেশ করিলাম । মিস। সোরাবাজির ভাইটির বয়স চোদ-পনেরর বেশি নয়, ዓ¢