পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প অস্বাসিরি লেকে পার্কে দলে দলে সুসজ্জিতা নরনারীরা বেড়াইতে আসিতে আরম্ভ করে, আমি বড় একটা শাল গাছের তলায় নির্জন প্ৰস্তরখণ্ডে বসিয়া দেখি ধীরে ধীরে সাতপুৱা শৈলশ্রেণীর আড়ালে। লাল সূৰ্যটা নামিয়া পড়িতেছে । আজও দেখিলাম গোরেওয়াড় হ্রদের বিস্তীর্ণ জলরাশি যেন আবীর-গোল টকটকে লাল। যেমন সূৰ্য অস্ত গেল, অমনি চারিধারে ঘনছায়া নামিল, মোটর দুখান। অধীরভাবে ভেপু বাজাইতে লাগিল, বাহুড়ের দল পাহাড়ের দিকে ফিরিতে লাগিল, ক্ৰমে ছায়া ঘন হইয়া অন্ধকার নামিল । নবীনদা বলিলেন-কই, মিস সেরাবাজি কোথায় ? -এই তো ছিল, সূৰ্যাস্ত ভাল দেখা যাবে বলে পাথরটার ওপারে গিয়েছে বোধ হয় । এমন সময় মূলোর সঙ্গে মিস সোরাবাজি পাথরের ওপাশের ঘাট থেকে উঠিয়া আসিল। উভয়েই স্নান করিয়া আসিল এই অবেলায়, দেখিয়া আশ্চৰ্য হইলাম । মূলো কৈফিয়তের সুরে বলিল-বড় গরম, তাই জালু বললে, বেশ স্নান করা গেল । নবীনদা বাংলায় বলিলেন—তার পর তোমার জালুর নিউমোনিয়া হলে তার বাবা দেখে নেবে তোমাকে—মূলো।গিরি খাটবে না। তখন মূলে বলিল-কি ? আমি উত্তর দিলাম, জালু নামটা বড় চমৎকার! মিঃ বোসের মতে। অবশ্য আমারও সেই মত । মিস সোরাবাজি সলজ হাসিয়া মেমসাহেৰী সুরে বলল-ও ইউ হরিড ক্রিচারস ! আমরা গাড়ীতে উঠিয়া চলিলাম । সাউথ টাইগার গ্যাস রোডের কিছু পূর্বে পাহাড়ী ঢালুতে অনেক বনশিউলি ফুল ফুটিয়া আছে দেখিয়া মেয়েটি বলিল-ও মিঃ রায় কি ፱”e