পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মূলো-র্যাডিশ-চর্স র্যাডিশ চমৎকার ফুল ফুটেছে! শেফালি-না ? —মোটর থামাইয়া মূলো গোটাকিয়েক ডাল ভাঙিয়া আনিল । তখন সন্ধ৷ হইয়াছে, জ্যোৎস্নার ক্ষীণ লেশ মাটির বুকে । সাউথ টাইগার গ্যাস রোডের এদিকটা নির্জন, এ সময় খুব বেশী লোকজন নাই। হঠাৎ মেয়েটি বলিল-চলুন, আম্বাসিরি লেক দেখে আসি। এ জ্যোৎসুগায় বেশ লাগবে। আমরা সকলেই হতবুদ্ধি। আম্বাসিরির দিকে যাইতে হইলে আবার পাহাড়ে উঠিতে হইবে । বপদে ফেলিল দেখিতেছি। খেয়ালী পার্শী মেয়েটা। কি করা যায়, সুন্দরী তরুণীর আবদার উপেক্ষা করিবার সাধ্য নাই আমাদের-মোটর ঘুরাইয়। আবার সধাই পাহাড়ে উঠিয়া আম্বাসিরির দিকে ছুটিলাম । সেখানে লেকের ধারে পর্কে বিভিন্ন বোঞ্চতে তখনও কেহ কেহ বসিয়া আছে। ক্ৰমে সুন্দর জ্যোৎস্না উঠিয়া হ্রদের জশে পড়িয়া সেদিনকার , খনাস লেকের স্মৃতি মনের মধ্যে আনিয়া দিল। পাহাড়ের উপর হু হু ঠাণ্ডা বাতাসে সমস্ত শরীরে কাপুনি ধরিল । জনবিরল হ্রদ-তারের পার্কটিতে দূরে দূরে দু-একটি নরনারী বেড়াইতেছে । ঠাণ্ডা লাগার ভয়ে সবাই নামিয়া চলিয়া গিয়াছে বলিয়াই আরও চমৎকার লাগিতেছিল, নতুবা সাধারণত আম্বাসিরিতে বিকালের দিকে বড় ভিড় থাকে । মিস সোরাবজিকে বলিলাম-কেমন লাগছে ? সে মেমসাহেবী সুরে সরু মিষ্টি গলায় টানিয়া বালিল-ও, ইটুজ ফা-ই-না ! ’ফ’ হইতে “ন’ পযন্ত টানিয়া সুরের নাম-ওঠা করিয়া উচ্চারণ করিতে প্ৰায় পাচ সেকেণ্ড সময় লইয়া মধুর ধরনে গ্ৰাবা বঁকাইয়া মৃদু। হাসির সঙ্গে কথাটা বলিল। এই তো কলেজের ছাত্রী, কতই বা বয়স, কুড়ি-একুশের বেশি নয়-এ সব শিখিল কোথা হইতে কে জানে। নবীনদা অন্যদিকে মুখ ফিরাইয়া বাংলায় বলিল-মেয়েটার আবার brS را - if f