পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুলো- র্যাডিশ-হার্স র্যাক্তিশ তিনি আসিয়া পৰ্যন্ত গুন গুন করিয়া গান করিতেছিলেন । মিস সোরাবাজির বিবাহের অল্পদিন পরেই আমরা দুই বন্ধু নাগপুর হইতে চলিয়া গেলাম। বছরখানেক পরে আবার একবার বিশেষ কাজে নাগপুরে আসি। DBBD DDDD LDBBDD DBD DBDBBS SBBBB BBSBD DDD গিয়াছেন। র্তাহার পরিবারবর্গ কেহই এখানে নাই-বুদ্ধের মৃত্যুর পরে তাহারা বোম্বাই চলিয়া গিয়াছে । মূলোর খবর জানিবার বিশেষ ইচ্ছা সত্ত্বেও আমরা কাহাকে তার কথা জিজ্ঞাসা করব বুঝিতে পারিলাম না। ডাক্তার সোরাবাজ শহরের বিশিষ্ট নাগরিক হিসাবে সকলের নিকটই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু মূলে জনৈক বিদেশী তরুণ ছাত্ৰ-অমন ছাত্র নাগপুরে বহু আছে-কে কাহার খবর রাখে ! আমরা ছাড়া আর সে কাহার সঙ্গে মিশিত জানি না, সুতরাং মূলোর খোজ লইবার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও উপায় হইল না। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সপ্তাহখানেকের মধ্যে একদিন অপ্ৰত্যাশিতভাবে হ্রদে বেড়াইতে গিয়া মূলোর দেখা পাইলাম। নবীনদা তাহাকে প্ৰথম দেখেন। একখানা পাথরে ঠেস দিয়া কে একজন নির্জনে বসিয়া আছে দেখিয়া নবীনদাই বলিলেন-ওখানে কে দেখ তো হে ! গোরেওয়াড়া শহর হইতে বহুদূরে, এত দূরে কেহ বেড়াইতে আসে। না। সাধারণত-স্থানটাও নির্জন পাহাড়-জঙ্গলের মধ্যে। আমি একটু কাছে গিয়া দেখি-মূলো ! নিখুঁত সাহেবী পোশাক পরা সেই রকমই, তবে দাড়ি কামায় নাই, মাথার চুল ছোট করিয়া ছাটা। ভাল করিয়া লক্ষ্য করিয়া দেখিলাম-মূলো একখানা খাতাতে কি লিখিতেছে। এত নিবিষ্টমনে লিখিতেছে যে, আমার পদশব্দ সে শুনিতে পাইল না । কবি হইয়া গেল নাকি ছোকরা ? ச0