পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ : সরস গল্প এমন সময়ে আমার স্ত্রী একখানা কাগজ আনিয়া হাতে দিলেন । বলিলেন-তোমার তো জমি পছন্দই হয় না। ঠিক বাছতে গা উজোড় করে ফেললে। সিনারি নেই তো কি হয়েছে ? এটা পছন্দ হয় না, ওটা পছন্দ হয় না । এবার কি আর কিনতে পারবে কোথাও ? যাও। এটা দেখে এসো। খুব ভালো মনে হচ্ছে । তোমার মনের মত। পড়ে 亦乙邻一 আমাকে আমার স্ত্রী যাহাই ভাবুন, হিম হইয়া বসিয়া আমি নাই। সত্যিই খুজিতেছি, মন-প্ৰাণ দিয়েই খুজিতেছি। ভালো জিনিস পাইলে আমার মত খুশী কেহই হইবে না । বলিলাম-এ কাগজ কোথায় পেলে ? --বীণাদের বাড়ী গিয়েছিলাম। ওরাও জমি খুজিচে, ওদের দেশ থেকে সব উঠে আসচে। ইদিকে, কলকাতার আশেপাশে । ওরা এটা কোথা থেকে আনিয়েচে । পড়িয়া দেখিলাম। লেখা আছে— “আচাৰ্য কৃপালনী কলোনী ।” আজই আসুন। দেখুন ! নাম রেজেষ্টি করুন !!! কলিকাতার মাত্র কয়েক মাইল দূরে অমুক স্টেশনের সুবিস্তৃত। ভূখণ্ডে এই বিরাট নগরটি গড়িয়া উঠিতেছে। সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য। কলোনির পাদদেশ ধৌত করিয়া স্বচ্ছসলিলা পুণ্যতোয় জাহ্নবী বহিয়া যাইতেছেন। পঞ্চাশ ফুট চওড়া রাস্তা, ইলেকট্রিক আলো, জলের কল, স্কুল, মেয়েদের স্কুল, গ্ৰন্থাগার, নাগরিক জীবনের সমস্ত সুখ-সুবিধাই এয়ানে পাওয়া যাইবে। আপাতত পঞ্চাশটি টাকা পাঠাইলে নাম রেজেষ্ট্রি করিয়া রাখা হইবে।”

  • স্টেশনের নাম পড়িয়া মনে হইল, কলিকাতার কাছেই বটে।

আমার স্ত্রী বলিলেন-দেখলে ? ভালো না ? -খুব ভালো। বীণার কাকা জমি নিয়েচেন এখানে ? bre