পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচাৰ্য কৃপালনী কলোনি —কোথায় যেন ওদের আপিস ? --রািজবনগর । কোন্নগরের কাছে । পরদিন। কিন্তু আমাকে একাই যাইতে হইল । বীণার কাক যাইতে পারিলেন না, তঁাহার বাড়ীতে আবার দুটি গৃহস্থ আসিয়া উঠিয়াছেন। তঁহদের লইয়া তিনি বিব্রত হইয়া পড়িলেন । কোন্নগর স্টেশনে নামিয়া রাজবনগর যাইতে মনটা বড় খারাপ হইয়া গেল। স্টেশনের সংলগ্ন তো নয়ই। পাকা আড়াই মাইল দূরে। কঁচা রাস্তা কাদায় ভর্তিত । যেমন জঙ্গল, তেমনি মশা । খোজ কািরয়া এক গ্ৰাম্য ডাক্তারবাবুকে জমির মালিক হিসাবে পাওয়া গেল ! তিনি একখানা টিনের ঘরে রোগীপত্ৰ দেখিতেছিলেন, যাহাদের সংখ্যা আর যাহাই হউক ডাক্তারের পক্ষে ঈর্ষার বস্তু নহে । আমার দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন-কাকে চাচ্চেন ? বিনীতভাবে বলিলাম-আপনারই নাম মণীন্দ্ৰ ঘটক ? আমি যশোর থেকে আসচি। আপনি কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন ডাক্তারবাবু নিস্পৃহভাবে বললেন-ওঁ- এবং পরীক্ষণেই রোগীদের দিকে মনোযোগ দিলেন পুনরায়। আমি বড় আশা করিয়াই গিয়াছিলাম । কলিকাতা হইতে মাত্র নয়। মাইল দূরে স্টেশনের গায়ে জমি, এ জমিটা লইতে পারিলে নানাদিক দিয়াই সুবিধা। কিন্তু জমির মালিক অত নিম্পূহ কেন। তবে কি বিক্রয় করিবেন না মনস্থ করিলেন ? প্ৰায় মিনিট দশেক কাটিয়া গেল । দাড়াইয়াই আছি। কেউ বসিতেও বলে না । আবার সাহস সঞ্চয় করিয়া বলিলাম-আমি-মানে, এই ট্রেনেই ベー下頭ー平iびエー ডাক্তারবাবু মুখ তুলিয়া বলিলেন-কি বলচোন ? bris