পাতা:সরোজিনী নাটক.djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অঙ্ক । ১৫৭ নিরীক্ষণ করিয়া ) কে এ সৰ্ব্বনাশ কল্পে ? কে এ সৰ্ব্বনাশ কল্লে ?— ভোদেরই এই কাজ তোরাই আমার সর্বনাশ করেচিম্‌। মার মার, সব ভেঙ্গে ফ্যাল দূর হ দূর হ দূর হ, তোরা সব দূর হ। (ছুরিকা আস্ফালন করত বলিদানের নিমিত্ত সজ্জিত উপাদান সমস্ত পদাঘাত দ্বারা দুরে নিক্ষেপ ) রণধীর । সৈন্যগণ ! আঢিাৰ্য্য মহাশয় পাগল হয়ে গেছেন ওকে ধ'রে ওর ছুরিকা শীঘ্ৰ হাত থেকে কেড়ে লও। (ভৈরবের হস্ত হইতে সৈন্তগণের ছুরিকা কাড়িয়া লইবার চেষ্ট্র ) ভৈরব । ছেড়ে দে ছেড়ে দে আমাকে—সব গেল সব গেল সব গেল প্রস্থান । ) রণবীর। একি ব্যাপার? আমি তো এর কিছুই বুঝতে পাচি ছাড় জামাকে বল চি, ( হস্ত ছাড়াইযা বেগে নে। সকলি ভোজবাজির মত বোধ হ'চ্চে ৷ ও হ’ল যবন-কন্ত, ভৈরবাচাৰ্য্য ওর পিতা হ’ল কি ক’রে ? লক্ষ্মণ । তাই তো সামারো বড় আশ্চৰ্য্য বোধ হচ্চে। বোধ হয় হত্যা ক'রে পাগল হয়েছেন, নহ'লে তো আর কোন অর্থ পাওয়া যায় না । রণবীর। আর, অবশেষে এই অস্পৃশ্য যবনকস্তার রক্তই কি দেবীর প্রার্থনীয় হল ? লক্ষণ। যবনদের উপর যে তিনি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তা এই বলিদানেই বিলক্ষণ প্রকাশ পাচ্চে।