লক্ষ্মণ। বৎসে সরোজিনী, আশীর্ব্বাদ করি, এখনও তুমি সুখী হও। সৈন্যগণ! চল, আর না।
নেপথ্যে। রে পাপিষ্ট যবনগণ! প্রাণ থাকতে বিজয়সিংহ, তোদের কখনই অন্তঃপুরে প্রবেশ করতে দেবে না।
নেপথ্যে। নির্ব্বোধ রাজপুত! এখনও তুই জয়ের আশা করিস্? (দূরে যবনদের জয়ধ্বনি)
রাজমহিষী। বাছা, ঐ শোন, এইবার সর্ব্বনাশ! আর রক্ষা নেই—(সরোজিনীর হস্ত আকর্ষণ করিয়া) আয়, এই ব্যালা আমরা অগ্নি-কুণ্ডে প্রবেশ করি, আয়।
সরোজিনী। মা যাচ্চি, একটু অপেক্ষা কর—আমি কুমার বিজয়সিংহের স্বর শুনতে পেয়েছি—আমি একটীবার তাকে দেখব।
রাজমহিষী। বাছা! আর এখন দেখবার সময় নাই—আমার কথা শোন—তোর সোণার দেহ পুড়ে যদি ছাই হয়, তাও আমি দেখতে পারব, কিন্ত তোর সতীত্বে বিন্দুমাত্র কলঙ্ক আমি কখনই সহ্য ক'ত্তে পারব না। আয় বাছা—আমার বোধ হচ্ছে মুসলমানেরা একেবারে দ্বারের নিকট এসেছে—আর বিলম্ব করিস নে,—আয়, আমি বলছি এই ব্যালা আয়—
সরোজিনী। মা! কুমার বিজয়সিংহ নিকটে এসেছেন, তার স্বর আমি শুনতে পেয়েছি, তিনি বোধ হয় এখনি আসবেন—