রক্ত থাকবে, ততক্ষণ আমি তোদের কখনই ছাড়ব না। (যুদ্ধ কোলাহল)
সরোজিনী। এবার তিনি নিশ্চয়ই আস্চেন।
বিজয়। (সরোজিনীকে দেখিয়া) হা! সরোজিনি—
সরোজিনী। (দৌড়িয়া আসিয়া বিজয়সিংহের নিকট পতন) হা! এ কি হ’ল –কি সর্ব্বনাশ হ’ল! নাথ! কেন তুমি ডাকচ? — আর কথা কও না কেন—নাথ! একটী বার চেয়ে দেখ, একটী বার কথা কও। যুদ্ধের শ্রমে কি ক্লান্ত হয়েছ? তা হ’লে এ কঠিন ভূমিতলে কেন?—এস, আমাদের প্রাসাদের কোমল শয্যায় তোমাকে নিয়ে যাই। আমি যে তোমাকে দেখবার জন্তে মার কথা পর্য্যস্ত শুনলেম না—তা কি তোমার এইরূপ মলিন শুক মুখ দেখবার জন্যে?—মা গেলেন, বাপ গেলেন—আমি যে কেবল তোমার উপর নির্ভর করে ছিলেম,—হা! এখন তুমিও কি আমায় ছেড়ে যাবে – নাথ, তুমি গেলে যবন-হস্ত হতে আমাকে কে রক্ষা করবে? প্রাণেশ্বর –ওঠ—ওঠ—আমার কথার উত্তর দাও,–একটা কথা কও— নাথ —আর একবার সরোজিনী বলে ডাক,—আর আমি তোমাকে