বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সরোজিনী নাটক.djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অঙ্ক । సి না। একটু স্থির ভাবে বিবেচনা ক’রে দেখুন ; কৰ্ত্তব্য অতিশয় কঠোর হ'লেও, তথাপি তা কর্তব্য। যদি অন্ত কোন উপায় থাকৃতে, তা হ’লে মহারাজ আমি কখনই এই নিষ্ঠুর কাৰ্য্যে অনুমোদন কত্তেম না । ভৈরব । মহারাজ ! যদি চিতোর রক্ষা কত্তে চান,—যবনের উপর জয় লাভের আশা থাকে, তা হ’লে দেবীবাক্য কদাচ অবহেল। করবেন না। লক্ষ্মণ । মহাশয়! আমার ভে এই বিশ্বাস ছিল যে, কোন মন্দ গ্রহ উপস্থিত হ’লে, স্বস্ত্যয়নাদি দ্বারা তাহার শাক্তি করা যায়।— আমার এ কুগ্ৰহ কি কিছুতেই শান্তি হবার নয়? ভৈরব। মহারাজ ! আপনার অদৃষ্টে কাল শনি পড়েছে, এ হতে উদ্ধার করা মনুষ্যের সাধ্য নয়। লক্ষ্মণ । আপনার দ্বারা যখন কোন প্রতিকারের সস্তাবনা নাই, তখন আর কেন আমরা এখানে বৃথা সময় নষ্ট কচ্চি। চল রণধীর, এখান থেকে যাওয়া যাকৃ। (উত্থান) ভৈরবাচাৰ্য্য মহাশয়, এরূপ সুবিজ্ঞ, সুবিখ্যাত, অসাধারণ পণ্ডিত হয়েও একটা সামান্ত বিষয়ের প্রতিবিধান কত্তে পাল্লেন না। আমরা চল্লেম—প্রণাম ! ভৈরব। মহারাজ! মনুষ্য যতই কেন বুদ্ধিমান হোকৃ না, কেহই দৈবের প্রতিকূলাচরণ কত্তে পারে না। এখন আশীৰ্ব্বাদ করি— লক্ষ্মণ। ওরূপ শূন্ত আশীৰ্ব্বাদে কোন ফল নাই। ( মন্দিরের মধ্যে ভৈরবচার্য্যের প্রস্থান । )