পাতা:সরোজিনী নাটক.djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮ সরোজিনী নাটক । স্বর তা তোমাকে আমি কথায় বলতে পারিনে। এখনও তা মনে ক’লে আমার হৃৎকম্প উপস্থিত হয় । সেই শুনে অবধি নানা প্রকার কাল্পনিক আশঙ্কা আমার মনে উদয় হতে লাগলো, আর কিছুতেই নিদ্ৰা হ’ল না। তখন দ্বিপ্রহর রাত্রি, সকলি নিঃশব্দ, সমস্ত বহুধা নিদ্রায় মগ্ন, সামান্য পথের ভিখারী যে, সেও সে সময় বিশ্রাম-সুখ । উপভোগ কচ্চে ; তখন যাকে তুমি পরম সুখী, পরম ভাগ্যবান বলুচ, . যাকে সূৰ্য্যবংশীয় রাজা রামচন্দ্রের বংশোদ্ভব, সমস্ত মেওয়ারের অধীশ্বর বল্ট, সেই হতভাগ্য মনুয্যই একমাত্র জাগ্ৰত। রাম। মহারাজ ! ও কিরূপ কথা ? সমস্ত খুলে ব’লে, শীঘ্র আমার উদ্বেগ দূর করুন। আমি যে এখনও কিছুই বুঝতে পাচ্চিনে। লক্ষ্মণ । শোন রামদাস ৷ ভামি তার পর সেই বিকটশবদ লক্ষ্য ক’রে, শ্মশানে উপস্থিত হ’লেম,—খানিক পরেই বজ-বিদ্যুতের মধ্যে চিতোরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী চতুভূজ, আমার সম্মুখে আবির্ভূত হয়ে, অলৌকিক গম্ভীর স্বরে একটা দৈববাণী ক’ল্লেন —ওঃ —এখনও ত। মনে পড়লে আমার হৃৎকম্প উপস্থিত হয়,—আর সেই কথাগুলি যেন রক্তাক্ষরে আমার হৃদয়ে মুদ্রিত রয়েছে। - রাম । রক্তাক্ষরে মুদ্রিত হয়ে রয়েছে ?—বলেন কি মহারাজ ? লক্ষ্মণ। হ্যা রামদাস! রক্তাক্ষরেই মুদ্রিত হয়ে রয়েছে। সেই দৈববাণীর তাৎপৰ্য্য জাম্বার জন্য, আমি আর রণধীর সিংহ, ভৈরবী, চাৰ্য্য মহাশয়ের নিকট গিয়েছিলেম। তিনি যেরূপ ব্যাখ! ক'ল্লেন, তা অতি ভয়ানক, তোমার কাছে ব’লতেও আমার হৃদয় বিদীর্ণ হু’য়ে