পাতা:সরোজ বালা.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরোজ-বালা । s মধ্যে কোন ধৰ্ম্মের তর্ক উপস্থিত হইলে; তাহারা তাহারইনিকট উপস্থিত হইতেন, এবং তিনি যাহ! বলিয়া দিতেন, তাহাকে বেদ বাক্য স্বরূপ মনে করিয়া স্বস্ব স্থানে গমন করিতেন শচী ভূষণের বয়স তখন প্রায় ১২ বার বৎসর। সে কখনও পুস্তক হাতে করিত ন। কেহ কোন কথা বলিলে তাহাকে মারিতে উদ্যত হইত। সে অত্যন্ত দুরন্ত ছিল। কাহাকেও ভয় করিত ন৷ পিতা माडा কোন কথা বলিলে সে হাস্য করিত। কাহারও কথা শুনিত না । কন্তু সে সুরেশ বাবুর অত্যন্ত অমুগত। স্বরেশ বাবু কোন কথা বলিলে সে তাহাতে দ্বিরুক্তি করিতে সাহস করিতমা । এই সকল কারণে তাহার মাতা সুরেশ বাবুর উপর বড়ই ঈর্ষান্বিত হইয়। ছিলেন । এবং কিসে তাহার অপকার করিলেন সে বিষয়ে বিশেষ যত্নবর্তী হইতেন । কিন্তু যতদিন তাহার স্বামী জীলিত ছিলেন ততদিন তাহার দুষ্টাভিসন্ধির কোন সুযোগ না ও ওয়াতে তিনি তখন কিছুতেই আপনার অভিঃসিদ্ধি করিতে পারেন নাই । আপাততঃ তাহার স্বামীর কাল হওয়াতে তিনি ও সুবিধা পাই- . লেন। এবং কিরূপে সুরেশ ও সরলাকে বাট হইতে দূর করিখ দিবেন তাহার উপায় অন্বেষু করিতে লাগিলেন। সুরেশ বাবু কিন্তু সেরূপের লোক নহেন । সহজে যে কেহ তাঙ্গার দেবোপন চরিত্রে কলঙ্ক বাষ্টির করিবে তাহা হইতন । তাহারবিমাত নান প্রকার কৌশল পাতিলেও সহসা তাঙ্গাকে কোন বিষয়ে দোলী করিতে ন পারিয়! বড়ই চিন্তিত হইলেন । বিশেষত: গ্রামেৱ প্রায় সকলেই মুরেশ বাবুকে মান্য করিত। সহজে যে তাহার তাহার চরিত্রদোষ বিশ্বাস করিলে ন; তিনি তাহ! বিশেষরূপে জানিতেন। কিন্তু এদিকে আবার যতদিন ভাষাকে বাট ইন্তে