পাতা:সরোজ বালা.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬ ৷ সরোজ-বালা সীতা —তবে চল ! দেখা যাক দাদা কি করেন । এই বলিয়া উভয়ে অভয় বাবুর বাটতে উপস্থিত হইল। সীতানাথকে দেখিয়া অভয়বাবু তাহাকে নিকট আহ্বান করিয়া জিজ্ঞা করিলেন, সীতানাথ ভূমি এ বিষয়ের কি জান, স্বরূপ বল। এতদিন ভূমি আমার পিতার ন্যায় ভক্তি করিয়াছ । আমি ও রোজবালা তোমায় কত করিয়া মাহৰ করিয়াছি বিবাহ দিয়াছি। পুনিও আমাকে যথেষ্ট ভক্তি করিতে। এখন এ বিষয়ের যাহা যাহা জান, আমার নিকট কিছু গোপন না করিয়া বল দেখি ?" অভয়বাবুর কথায় সীতানাথের ভ্রম দূর হইল। সীনানাথ অভয়বাবুকে শত্রু বলিয়া ভাবিয়াছিল, এখন তাহাকে মুখে এই সকল বাক্য শ্রবণ করিয়া তাহার চক্ষে জল আসিল । কিয়ৎক্ষণ পরে সে যাহ। যাহা জানিত সকল কথাই ব্যক্ত করিল কিছুই গোপন করিল না । কিরূপ নলিনীবাবু তাহার অনুসন্ধান করিয়াছিল, কিরূপে একখানি উহল জাল করা হইয়াছিল, কিরূপ অগাধ সম্পত্তি পাইয়া মনোরমাকে লইয় দূরদেশে বাস করিতেছিল সকল কথাই আগ্ন্যোপাঙ্ক বর্ণনা করিল। সীতানাথ এরূপ ভাবে কথা বলিয়াছিল যে, তাহাতে অভয়বাবুর আর কিছুই সন্দেহ রছিল না! সেদিন সীতানাথকে অভয়বাবু আর কোথাও যাইতে দিলেন না । তাহার হস্ত ধারণ পূৰ্ব্বক সরোজবালার নিকট লইয়া গেলেন এবং তাহাকে বলিলেন, সরোজবালা সীতনাথ আলিয়াছে ! সে সকল কথ ভুলিয়া যাও । গীতানাথ আমাদের পুত্রস্বরূপ উহার কথায় রাগ কবিতে নাই।” সরোজবালা স্বামীর কথায় ঈষৎ হাস্য করিয়;