পাতা:সরোজ বালা.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরোজ-বালা । । 54 আপনার অংশ তাহাকে দিত। অভয়বাবু নায়েবের পদ পাইলে তাহার অর্থের অভাব ছিল না। তখন সে মনের সাধে দরিদ্র লোক কে কিছু কিছু দান করিয়া অন্তঃকরণের ক্ষোভ নিবারণ করিত । o ঈশ্বরের কৃপায় অভয়বাবুর সংসার এখন বেশ সচ্ছলভাবে চলিতে লাগিল। সীতানাথের বয়োবৃদ্ধি সহকারে তাহার ; মনের ও বিশেষ পরিবর্তন হইতে লাগিল। শৈশবকালের মত পাঠশালায় যাইয় গুরুমহায়কে ফাকি দিয়া আর সে নিশ্চিন্ত থাকিতে পারিল না । এখন তাহাতে আবার | অর্থের ও অনাটন নাই । যখনই যাহা প্রযোজন হয় সরোজ- ; বালার নিকট প্রার্থনা করিলেই তৎক্ষণাৎ প্রাপ্ত হইয়া থাকে । বলিতে কি সাধ্বী পতিব্ৰত সরোজবাল তাহাকে আপন । সস্তানের দ্যায় জ্ঞান করিত। এইরূপে কিয়দিন অতি । গঠিত হইলে পর সীতানাথের অপরাপর অসৎসংলগ্নও আসিয়া উপস্থিত হইল । তাহারা সীতানাথকে আর ৪ । কুকার্ঘ্যে রত করিল। ক্রমে ক্রমে সে আর পাঠশালায়ও ৷ যাইত না । অনেকদিন এরূপ অনুপস্থিতিতে গুরুমহাশয়ের সন্দেহ হইল। তিনি অভয়বাবুর সহিত সাক্ষাৎ করিলেন । , তাঙ্গর মুখে সকল কথা শুনিয়া অভয়বাবু সকলই বুলিতে l পারিলেন ও র্তাহাকে বলিলেন “ সীতানাথ যখন পড়া শুa করিবে না তখন আর বৃথা অর্থব্যয় করিয়া ফল কি ? আজ . হইতে আর সে পাঠশালার যাইবে না। ” গুরুমহাশয় অভয়বাবুর কথা শুনিয়া বিবামুণে তথা হইতে ঞ্জৈ স্থান করিলেন। - -