পাতা:সরোজ বালা.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

92 সরোজ-বালা । সুরেশ —স্থা ও সকল কথা আমিই বলিতে বলিয়াছি । মামাদের যখন মা আৰু খাওয়াইতে পারবেন না, তখন আমাকেই একট চাকরীর চেষ্টা করিতে কলিকাতায় যাইতে হইবে।” স্বতরাং সরলাকে শ্বশুরবাড়ী না পাঠাইয়া কোথায় রাখিব যাইব । এখানে ওকে প্রত্যহ কে আস্থার যোগাইবে। শচী —দাদা ! তোমার মুখে কখনত এরূপ কথা শুনি মাই। তবে কি তুমি আৰাদিগকে একেবারে পরিত্যাগ করিম। চলিলে। আর কি তোমার সহিত আমাদের সাক্ষাৎ হইবে না ! সুরেশ —ন ভাই ! একবারে অামি যাইরেছি না । কেবল যতদিন কিছু না আয়ের সংস্থান করিতে পারি, ততদিন আর এ বাটতে আসিব না। এইরূপ মনে করিয়াছি। . এই কথা শেষ হইতে না হইতে, ইন্দির। সেই কক্ষে প্রবেশ করিল। এবং শচীভূষণকে সম্বোধন করিয়া বলিল দাদা ! তুমি এখানে বসে বসে গল্প কৰ্বছ ? আমি যে তোমার জন্ত সমস্ত বাটী অনুনষ্কান করিতেছি । ম৷ তোমায় কি বলেছিলেন তাহা কি মনে নাই !” এই কথা শুনিয়া শচীভূষণের মুখ মলিন হইল। সে আর ক্ষণবিলম্ব না করিয়া তৎক্ষণাৎ সেই গৃহ হইতে প্রস্থান করিল। ইন্দিরা তাহারু পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিল। তাহারা প্রস্থান করিলে পর সুরেশবাবু অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত একমনে নানা প্রকার চিন্তা করিতে লাগিলেন। অবশেষে একথও কাগজ লইয়া, একখানি পত্ৰ লিখিতে বসিলেন। -