পাতা:সরোজ বালা.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Web সরোজ-বালা । ـ به Tীতানাথ বিপিন বাবুর মুখে ভ্রাতার কারাদও শুনিয়া প্রথমতঃ অতীব দুঃখিত হুইয়াছিল । পরে যতই সে অভয় বাবুর ব্যবহার স্মরণ করিতে লাগিল ততই তাহার দাদার উপর ক্রোধ হইতে লাগিল এবং পরিশেষে অভয়বাবুর এই অন্যায় শাস্তিতে কিয়ং পরিমাণে মনের কষ্ট দূর করিল । বিপিন বাকুপ্রস্থান করিলে ণর সীতানাথও বাটা প্রত্যাগমন করিল । এবং সরোজবালার নিকট উপস্থিত হইয়া অভয় বাবুর কারাদণ্ডের কথা জ্ঞাপন করাইয়া তথা হইতে প্রস্থান করিল। সরোজবালা ও অমিয়া তখন পরস্পর কি কথাবার্ত কহিতে ছিলেন। সীতানাথের মুথে সহসা ঐ কথা শ্রবণ করিয়া সরোজ, বালা মূৰ্ছিত হইল। অমিয়া মাতাকে মুৰ্ছিত দেখিরা ক্ৰন্দন করিতে করিতে মনোরমার নিকট উপনীত হইয়া সেই সংবাদ জানাইল । গীতানাথ তখন গৃহেই ছিল সুতরাং মনোরম। একবার সীতনাথের দিকে চাহিয়া অনুমতি প্রার্থনা করিল। নীতানাথ মনোরমার অভিপ্রায় বুঝিরা বলিল আজ তোমার যাহা ইচ্ছা হয় কর । আমরা কালই এ স্থান হইতে অন্যন্ত্র গমন করিব । আমি এক প্রকার সকল আজই স্থিৰ করিব । মনোরম স্বামীর অনুমতিলইয়া সত্বর সরোজবালারন্থহে আসিয়া প্তাস্থায় মুখে শীতল ৰারি সেচন করিতে লাগিলেন । অমিয়া তালবৃত্ত ব্যঞ্জন করিতে লাগিল ! প্রায় অর্ধ ঘণ্টার পর সরোজবালার চেতন হইলে তিনি মনোরমাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন মনোরম ৷ আমার আজ যে কি তুর্দিন তাহ। বলিতে পারি না। যিনি কখনও কাহারও অপকার করেন নাই