r ভগবৎসলদার্ভের 象á9 উক্ত হইয়াছে, যে সকল ভােব অচিন্তা, সেই সকল ভাবে তর্কের ব্লাজনা করা অনুচিত। এই নিমিত্ত্বে অচিন্ত্য ভাব বলিয়া সেই তত্ত্ব পরস্পর শিরোধী, ইহাই বলা হউক ।
- আলোচ্য বিষয়ে বেদানুগত বিদ্বদ্যুমুম্ভবই প্রমাণ Zপৈঙ্গী শ্রুতি বজ্ঞান-যিনি বিরুদ্ধ শুৰস্কন্ধ, মন্ত্র আমন্ত্র, বাৰু অবাঁক্, ইন্দ্র অনিক্স, প্রবৃত্তি উর্ম প্রবৃত্তি, তিনি পরমাত্মা। কাঠশ্রীতি বলেন, এই মতি তৰ্কদ্বারা भभनव नरह। শ্ৰীবিষ্ণুপুরাণ বলেন যে, সৰ্ব্বশক্তিনিলয় ব্রহ্মে মানীদিগের মান নিষ্ঠা-হেতু প্রভাব পায় না। শ্ৰীনারদপঞ্চরাত্রে উক্ত হইয়াছে, বিষ্ণু তত্ত্ব এক হইয়া অনেক-ভেদগ। ইহা জানিয়া মোদিনী-সকলকেও দীক্ষা দিবে, উপসম্মতদিগের সম্বন্ধে আর কথা কি ?
ব্ৰহ্মতত্ত্ব অতর্ক্য, সুতরাং তৰ্কমূলা খণ্ডনবিদ্যা এ স্থলে প্রযুক্ত হইতে পারে না। শ্ৰীভাগবস্তৃত হংসগুহু স্তবে লিখিত হইয়াছে, “যায়ুর শক্তিসমূহ মীমাংসক ও স্বভাববাদিগণের বান্ধ-বিবাদের হেতু হইয়া মুহুর্মুহু উঁহাদের মোহ জন্মায়, সেই অনন্তগুণ ভূমি গুরুষকে নমস্কার % পরস্পর বিরোধী শক্তিগণের একাশ্ৰয়ত্ব অযৌক্তিক নহে। জগতের দৃষ্ট, শ্রুতি, পরস্পর-বিরোধী সৰ্ব্ব প্রকার ধৰ্ম্মের যুগপৎ আশ্ৰয়--কেবল একমাত্ৰ ভগৱান। এ সম্বন্ধে অতঃপর বহু বিদ্বদনুভব প্রদর্শন করা হইবে। – ܠܒܝܫܬܐ ܗܕܩܝܡܬܐܘܡ সুতরাং ব্রহ্মে তাদৃশ শক্তিসমূহ অবশ্যই আছে। কিন্তু সেই ব্রহ্মে সেই, সেই শক্তিসমূহ যখন প্রচুর রূপে উপলব্ধ হয়, তখন তঁাহার ‘ভগবৎ-সংজ্ঞা”। সেই সকল শক্তি যখন প্রচুর রূপে উপলব্ধ না হয়, তখন তঁহার 'ব্ৰহ্ম’ এই সংজ্ঞা হইয়া থাকে। অতএব শ্ৰীবিষ্ণুপুরাণে লিখিত আছে,-যাহাতে ভেদ প্রত্যন্তমিত হইয়াছে, র্যাহা সত্তাস্বরূপ, বাক্যের অগোচর এবং আত্মবোদ্য, সেই জ্ঞানই ব্ৰহ্ম সংজ্ঞায় সংজ্ঞিত।। এই স্থলে 'প্রত্যন্তমিত’ পদে যে ‘অন্ত’ পদ আছে, উহার অর্থ-"আদৰ্শন’। এই হেতু দ্বৈত এবং অদ্বৈত শ্রুতিসমূহের সেই ব্ৰহ্মে প্রাধান্তরূপে প্ৰবৃত্তি হইয়া থাকে। এইরূপে সেই শক্তিরূপ ধৰ্ম্ম, ধৰ্ম্মাতিরিক্ত ব্ৰহ্মে আছে, এই কথা বলিলে কি ইহাই বলা হয় যে, নির্ধৰ্ম্মে কি ধৰ্ম্ম বর্তমান থাকে ? অথবা সধৰ্ম্মেই ধৰ্ম্ম বৰ্ত্তমান থাকে ? এই বিকল্পকল্পনাপ্রকারসমূহও অবশ্যই নিরসন করা কীৰ্ত্তব্য 1 = " ( গ্ৰন্থকার পুৰ্ব্বপক্ষীয়দিগকে সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন। )--আপনাদের মতে অবিস্তাযুক্ত ব্ৰহ্মে আপনারা কি আবিষ্কার বর্তমানতা স্বীকার করেন ? কিম্বা নিরবিহু ব্ৰহ্মেই অবিজ্ঞার বর্তমানতা স্বীকার করেন, ইহাই জিঞ্জান্ত । আর বাগবাহুল্যে প্রয়োজন কি ? -་་་་་་་་་་་་་་་ “এইরূপে ঘট্টাপাল পথ • ছাড়িয়া দিলে যেমন সোজা পথে চলিয়া যাওয়া যায়, সেইরূপ নিরন্ত" হওয়ায় ভগবন্ধৰ্ম্মবাদী বৈষ্ণবগণ শ্ৰীশ্ৰীপুরুষোত্তমের မျိုးမျိုးမျိုးမျိုါ অভিমুখে অবাধে রাজপথেই গমন্ধের সুবিধা প্রাপ্ত হয়েন। শ্ৰীবিষ্ণুপুরাণেও মৈত্ৰৈয় বণুিতেছেন,-আমলাত্মা, বিশুদ্ধ, অগ্ৰমেয়, নিগু৭ ব্ৰহ্মের কি প্রকারে স্থষ্টি বিষয়ে কর্তৃত্ব সম্ভবপর হইতে পারে ?
