ܒܒܬܐ RNgŵyl v Stey ইহার উত্তরে বলু। যাইতেছে —ঙ্গন, শক্তি, স্কুল ও ঐশ্বৰ্য্য ইত্যাদি যে স্থলে বলা হইয়াছে, সে স্থলে হেয় গুণের মিশ্রণ নিষিদ্ধ হইয়াছে। অপিচ তিনি “গুণদোষের অতীত” এবং “সমস্ত কল্যাণ-গুgাত্মক’ ইহাতে তাহাতে গুণাস্তিরের নিষেধপূর্বক তদীয় আত্মভুত, গুণাস্তিষ্ক : স্থাপন দ্বারা সেই সকল গুণ যে পরমেশ্বর বাসুদেবুের স্বীপ, তাহাও প্রতিপাদিত হইয়াষ্ট্রে। সুতরাং সেই সকল গুণ কিছুতেই পরিহার্য্য নহে। " এই নিমিত্ত অঙ্গুত্ৰ “অস্তদোষম” এইরূপ লিখিত হইয়াছে;-কিন্তু “অস্ততদগুণদোষম” এরূপ লিখিত হয় নাই। তব্দ্ধেতু সেই সকল যথাবিস্থিত গুণসমূহেরও স্বরূপত্ব যাহা দ্বারা জানা যায়, তাহাই জ্ঞান, ইহাই তাৎপৰ্য। ... */ অতএব ভাগ এই উপলক্ষণত্ব দ্বারা যে কেবল অদ্বয় স্বরূপ বলা হইয়াছে, এই অভিমত প্রত্যাখ্যাত হইল। ভগবৎ শব্দের দ্বারায় - ভগবৎ সম্বন্ধে ভগের বাচ্যত্ব স্বীকার করা হয়। বিষ্ণুপুরাণের প্রমাণ এই যে, “তদেতদভgবদবাচ্যং স্বরূপং পরমাত্মনঃ”। অপর প্রমাণ এই যে, “জ্ঞানশক্তিবলৈশ্বৰ্য-বীৰ্য্যতেজাংগুশেষতঃ। ভগবৎশব্দবাচ্যানি” ইত্যাদি ” এই প্রকারে ভগ পরমতত্ত্বের স্বরূপভূত, এই বিষয় প্রকাশের জন্য শুদ্ধস্বরূপ নিরূপণে বলা হইয়াছে“বিভূং সৰ্ব্বগতষ্ক"; এ স্থলে বিভু শব্দের দ্বারায় প্রভূত-বাচক বিশেষণ প্রদত্ত হইয়াছে। শারীরিক ভাষ্যকার শ্ৰীমৎশঙ্করাচাৰ্যও বলেন,-জ্ঞান, ঐশ্বৰ্য্য, বল ও তেজ, এই গুণ আত্মার ; উহাদিগকে ভগবান বাসুদেব বলা হয় (শাঙ্কর ভাষ্য, ব্ৰহ্মস্থ", ২২৷৷৪৫); এইরূপ বলিয়া তিনি পাঞ্চর্যাত্রিক মত উত্থাপিত করিয়াছেন। পাঞ্চর্যাত্রিক সিদ্ধান্ত শ্রুতি-পুরাণাদির প্রশংসিত সাক্ষাৎ শ্ৰীভগবদ্যাত। এই মতে স্বরূপশক্তির বৃত্তিবিশেষ ঐ সকল গুণের গুণীর সহিত ঐক্যবৃত্তিতে দোষ দেওয়া অদ্বৈতবাদ স্থাপনাগ্রহের পক্ষে স্বভাবসিদ্ধ। সেই আগ্রহের ফলে ভাষ্যকারের কথিত ( কারণের আত্মভুত শক্তি) এই স্বীয় বাক্য ব্যর্থ হইয়া পড়ে। ভগবদগীতায় লিখিত আছে,-“পরং ভাবমজানন্তো মম ভূতং মহেশ্বরং” এ স্থলে ভূত শব্দের অর্থ পরমাৰ্থ সত্য এবং নিজের যে পরম তত্ত্ব, তাহা মহেশ্বর-লক্ষণ-বিশিষ্ট। শ্ৰীধর স্বামীও ঐরূপ স্থলে ঐ রূপ ব্যাখ্যাই করিয়াছেন। পদ্মপুরাণের উত্তরখণ্ডে লিখিত হইয়াছে, - ७छ्रे डेवन् অথবা নিরুপাধি, পুরুষ, এই দুই পদ অখিলাত্মা- বাস্থদেবে প্রযুক্ত হইয়াছে। এই নিমিত্ত ভগবিশিষ্ট ভগবান ব্রহ্মের ন্যায় পরীবিদ্যা মাত্র দ্বারায় প্রকাশ্য বলিয়া ভগবানের স্বপ্রকাশিত্ব স্পষ্টই নির্ণীত হইয়াছে। এ স্থলে শ্ৰীমাধ্বভাষ্য-প্রমাণিত একটি শ্রুতির অনুবাদ প্রদত্ত হইল, যথা-দুইটি বিদ্যা জ্ঞাতব্যা-পরা ও'অপরা। অঙ্গোপাঙ্গ সহ বেদাদি অপরা বিজ্ঞা ; যাহা দ্বারাঙ্গ” হরিকে জানা যায়, তাহ পরা বিদ্যা। এই হৰি অদৃশ্য, নিগুণ, পর এবং পরমাত্মা । (মষ্টি ভাং, ১৷৷২২১ ব্রহ্মস্থ )। কোটরব্য শ্রুতিত্বেও সেই সকল ভগ্নবাদগুণ যে কেবল পরারিস্কামাত্রেরই প্রকাশ্য, ইহাও প্রতিপন্ন হইয়াছে। উক্ত শুশ্রুতি বলেন- অদৃশ্য, অব্যৱহাৰ্য্য, অব্যাপদেষ্ণ, সুখ, জ্ঞান, ওজ, বল ইত্যাদি । কোটরব্য শ্রুতির আর একটু প্রমাণ এই যে, “ব্রহ্মণস্তিস্মাদ্ৰব্ৰহ্ম ইত্যাচৰ্ম্মক্ষত” ইতি। অন্যত্র আর একটি প্রমাণ আছে,-জীবের জ্ঞান সৈন্য, পরমের জ্ঞান অন্ত । পরম জ্ঞান নিত্যানন্দ, অব্যয় এবং পূর্ণ ইতি।” YA b
