পাতা:সর্ব্বসম্বাদিনী - জীব গোস্বামী.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अकूत्रgiथा। ২৯৭ ২. কেহ কেহ কিন্তু দ্বিবিধ ভাবে প্রতিহ্মেপুত্র আত্মা অভেদ বলিয়া বর্ণন করেন । ইহীরা বলেন,-উপাধি পার্থক্য নিবন্ধন ব্যবহারে সেই সেই উপাধির পার্থক্য কৈল্পিত হইলেও বস্তুতঃ ■ ■ জীব অভিন্ন | আবার অপর কেহ কেহ বলেন, ব্যবহারেও একএকজৗৰবীন্দ্ৰ খণ্ডন। - জীবাভিমান স্বপ্নের ন্যায় বহু কল্পিত হয় এবং একাভিমান • বিশ্বজ্জিত হইয়া বহুবৎ প্রতিভাত হয়। কি প্রকারে জ্ঞানস্বরূপ ব্ৰহ্ম অজ্ঞানকে আশ্ৰয় করিয়া ਭ ভিন্ন জীবাকারে হয়েন, ইহার নিরূপণ করা অসম্ভব ; সুতরাং তদ্ধেতু “এই মতই নিঝুস্ত হইয়া পড়ে। এইরূপে পরিচ্ছেদাবাদ, আভাসবাদ ভু প্ৰতিবিম্ববাদ দ্বারা একজীববাদ স্থাপনের প্রিয়াসও মূলেই খণ্ডিত হইয়াছে। সুতরাং একজীববাদ কোনক্রমেই বুদ্ধিগোচর হইতে পারে না। শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে যে “ একুে দেবঃ” ইত্যাদি শ্রুতি উক্ত হইয়াছে, তাই জীববিষয়ক নহে-পরমাত্মবিষয়ক । “পরমাত্মা এক”-পরমাত্মাকে এক বিশেষণে বিশিষ্ট করায় জীবের বহুত্ব সুচিত হইয়াছে। অন্যত্রও এইরূপ বুঝিতে হইবে। জীবের ও পরমাত্মার যে এক স্বরূপ নহে, তাহা মূল গ্রন্থে অতঃপরে সবিত্নার আলোচিত হইয়াছে। তাহাতে অভেদবাদ স্বতঃই পরাহত হইয়াছে। অদ্বৈত-গুরুগণ সকলের প্রতিই বলিয়া থাকেন, “তুমিই সেই এক জীব” । স্থাণুকে যেমন পুরুষরূপে কল্পনা করা হয়, তদ্রুপ ব্ৰহ্মকেই বহু জীবরূপে কল্পনা করা হয় ইত্যাদি। র্তাহদের এইরূপ উক্তি কেবল বঞ্চনা করা মাত্র। নিজের যেমন চেতনাভিমানসত্তার উপলব্ধি । হয়, অন্যও সেইরূপ সচেতন-ইহাতে অপর জীবের অস্তিত্ব-সম্ভব প্রমাণসিদ্ধ হইতেছেঅন্যান্য প্রাণীতেও নিজের ন্যায় ধৰ্ম্মবত্তা আছে, এই উপলব্ধি হেতু বহুজীববাদ অনুমান প্রমাণসিদ্ধও বটে। স্বপ্নের উদাহরণ দ্বারা যে এক জীববাদ স্থাপিত হইয়াছে, তম্নিরসনের জন্য গ্ৰন্থকার বুলিতেছেন-বাণিকন্যা ঊষা অনিরুদ্ধকে যখন স্বপ্নে দেখিয়াছিলেন, তখন তঁহার নিকট অনিরুদ্ধ কাল্পনিক বুলিয়াই প্রতিভাত হইয়াছিলেন। কিন্তু প্রত্যক্ষ দর্শনে অনিরুদ্ধ উপহার নিকট বাস্তবরূপে প্ৰতিভাত হয়েন। ব্ৰহ্মপুত্ৰকারও বলেন,-“বৈধৰ্ম্ম্য হেতু স্বপ্নাদির ন্যায় নহে" অর্থাৎ স্বপ্নে ও জাগরণে বৈধৰ্ম্ম্য আছে। সুতরাং স্বপ্ন-দৃষ্টান্ত श्क्झनौं নহে । শ্রীতি, পুরাণ, আগম, স্মৃতি প্রভৃতি শাস্ত্ৰে সহস্র প্রকারে পৃথক পৃথক সুখ-দুঃখাভিমানী জীবসমূহের অনন্ততা প্রতিপাদক বাক্যসমূহের সহস্ৰ কদৰ্থনা 7 ঘটে। এ বিষয়ে শ্রেীত প্রমাণ এই যে, “যাহান্না এই লোক হইতে প্রয়াণ করেন, তঁাহারা চন্দ্রলোকে গমন করেন।” ( কৌষীতকী উঃ, ১ + ২ ) , , , , অনাদি অবিভাযুক্ত জীবুের স্বতঃ জ্ঞানোৎপত্তি অসম্ভব। স্বীয় তর্কেরও প্রতিষ্ঠা নাই ; বেদ ও গুরুর উপদেশ সেই অঙ্গুনমাত্র বলিয়াই কল্পিত হয় এবং সেই উপদেশাবলীও স্বীয় তর্কেই পৰ্য্যবসিত হুইয়া” পড়ায় মোক্ষভাবের প্রসঙ্গ আসিয়া পড়ে। ( কেন না, এক অজ্ঞানপ্রসুত জীবের উপদেশ দ্বারা মোক্ষ প্রাপ্তির সম্ভাবনা কোথায় ? ) Ubr |