পাতা:সর্ব্বসম্বাদিনী - জীব গোস্বামী.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. : Rəşti- পরমাত্মসন্দর্ভের একজীববাদ স্বীকার করিলে এই সকল দোয় ঘটে। সুতরাং প্রতি ক্ষেত্রেই ভিন্ন ভিন্ন । জীবের অধিষ্ঠান সাধুসন্মত। শ্ৰীভাগবতে 'শ্ৰীমৎউদ্ধবকে শ্ৰীভগবান এই উপদেশ । করিয়াছেন,-“অনাদি অবিস্তাযুক্ত পুরুষের স্বতঃ জ্ঞানোৎপত্তি অসম্ভব। এই নিমিত্তে, অপর ށަދީ" তত্ত্বজ্ঞ জ্ঞানদী গুরু গ্ৰহণ কর) কৰ্ত্তব্য।”-( শ্ৰীভাগ, :১২২৭১৭ )। যম নচিকেতাকে বলিন্তেছেন,-“হে প্রিয়তম, এই পর্যতত্ত্বগ্ৰহণাৰ্ছ মতি শুষ্ক তৈর্কে ঘটে না, বেদজ্ঞ গুরু দ্বারা উপদিষ্ট - হইলে ইহা’দ্বারা পর্যতত্ত্বানুভব সম্পন্ন হয়।” " . 腎 { জামাতৃমুনির বাক্য অবলম্বনেই জীবল ক্ষুণ, আলোচিত হইতেছে। উক্ত বচনে জীবুকে । , অণু বলা হইয়াছে। এ স্থলে গ্ৰন্থকার তাঁহারই ব্যাখ্যা করিতেছেন। ) ( জীব স্বয়ং নিরািবয়ব । ব্ৰহ্মসূত্রকার বলেন,-জীবের উৎক্রমণ গতি-আগতি আছে। অর্থাৎ জীব দেহের বাহিরে যায়, আবার পুনরায় অপর দেহে প্ৰবেশ করে। ইহা দ্বারা বুঝা যায়, জীব বিভু নহুে-অণু। উৎক্রান্তি-শ্রুতির মৰ্ম্ম এই যে, Χ “ঞ্জীব যখন এই শরীর হইতে বহির্গত হয়, তখন ইন্দ্ৰিয় ও প্রাণের সহিত নিৰ্গত হয়।” গতিশ্রীতির মৰ্ম্ম এই যে, “যে কেহ এ লোক হইতে গমন করে, তাহারা সকলেই চন্দ্ৰলোকে | গমন করে।” আগতি-শ্রুেতির মৰ্ম্ম এইরূপ,-“কৰ্ম্ম করিবার জন্য চন্দ্ৰলোক হইতে তাহারা পুনৰ্বার এই লোকে আগমন করে।” পরিচ্ছিন্ন বস্তুর সম্বন্ধেই এই সকল ব্যাপার সম্ভাবিত হয়-জীব যদি দেহ প্রমাণ হয়, তাহা হইলে উহাতে বিকারতী-দোষ ঘটে, এই জন্য জীব ار অণু বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে। স্থলবিশেষে বিনা চলনে (বিভূত্বাবস্থাতেও ) উৎক্রান্তি দৃষ্ট হয়। যেমন গ্ৰামম্বামিত্ব নিবৃত্ত হইলে উহা উৎক্রান্তি শব্দে অভিহিত হয়, সেইরূপ দেহস্বামিত্ব নিবৃত্ত হইলেও তাহা উৎক্রান্তি শব্দে অভিহিত হইতে পারে । গতি ও আগতি, এই দুইটি বিনা চলনে হয় না। যেহেতু এই উভয়ের সহিত কৰ্ত্তার সম্বন্ধ আছে। গমনক্রিয়ামাত্রই কর্তুনিষ্ঠ। গম ধাতুর যথার্থতা স্বীকারে জীবের গমনে তৎসহ প্ৰাণাদিরও গমন হয়, শ্রতিবাক্যে, যখন ইহাই প্ৰতিপাদিত ܢܠ হইতেছে, তখন উৎক্রান্তি পদের অন্য অর্থ কোনও ক্রমেই প্রকল্পিত হইতে পারে না ; সেরূপ কল্পনা শ্রীতিবিরুদ্ধাও বটে। বৃহদারণ্যক উপনিষৎ বলেন,-জীবাত্মা চক্ষু, মস্তক বা শরীরের অন্য কোন প্রদেশ দিয়া বহিনির্গত হইয়া থাকে। পক্ষী যেমন নীড় হইতে আকাশে উড়িয়া যায়, সেইরূপ আত্মা দেহের স্থানবিশেষ হইতে উদগত হয় ; এই জন্যই উৎক্রান্তি বলা হইয়াছে। শ্ৰীতি প্রভৃতিতে (বৃহদারণ্যক ও শ্ৰীমদ্ভাগবতাদিতে) জলৌকার দৃষ্টান্তও এই নিমিত্ত দৃষ্ট হয়। ] যদি বল, বৃহদারণ্যক উপনিষদে “স বা এষ মহানজ আত্মা,”,”য়োহয়ং বিজ্ঞানময়ঃ প্ৰাণেষু”/ . . তৈত্তিরীয় উপনিষদে-“আকাশবৎ সৰ্ব্বগতশ্চ নিত্যঃ” “মৃত্মং জ্ঞানমনীন্থং ব্রহ্ম" ইত্যাদি শ্ৰীতিবাক্যে আত্মার ব্যাপ্তি বিষয়ই বর্ণিত হইয়াছে। (সুতরাং জীব অণু নহে )। " t | - - এ কথা বলিতেওপার না। যেহেতু এই সকল শ্রুতিতে অরুন্ধতীদর্শনবৎ জীবাত্মার কথা বলিতে গিয়া ব্ৰহ্মকেই নির্দেশ করা হইয়াছে। এ সকল শ্রুতি পরমাত্মাধিকারভুক্ত। এই * * * জীবের অণুত্ব | Digitized at BRC india.com